পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় নাসির মাহমুদসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

জুন ১৪ ২০২১, ১৬:৪৯

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃৃত বাকি তিনজন হলেন লিপি, সুমি ও স্নিগ্ধা।

গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর-তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা) এবং সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নাসির উদ্দিন মাহমুদের বাসায় অভিযানকালে বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

নাসির ইউ মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের সদস্য। তিনি ৩৭ বছর ধরে ডেভেলপার ব্যবসায়ে আছেন। ১০ বছর ধরে মাহমুদ কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। কুঞ্জ ডেভেলপার্সের আগে তিনি মাহমুদ বিল্ডার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের এমডি ছিলেন।

নাসির ইউ মাহমুদ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য। তিনি ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি, লায়ন ক্লাবের ঢাকা জোনের চেয়ারম্যান।

এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টির (জাপা) একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাপার ৯ম কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়।

সোমবার (১৪ জুন) সকালে সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। এর আগে সকালে রূপনগর থানার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

পরীমনি রোববার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টির বিস্তারিত নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসেন।

পরী জানান, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরা বোট ক্লাবে। নাসিরউদ্দিন নামে একজন তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এই ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন।

সাংবাদিকদের পরীমনি জানান, ঘটনার পর থেকে দ্বারে দ্বারে ‍ঘুরেও কোথাও কোনো সহযোগিতা পাননি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি নিজের জীবন নিয়েও আশঙ্কার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

পরীর সংবাদ সম্মেলনের পর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও