মুজিব বর্ষে আমরা মানবো না হার,চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ ই হবে আমাদের অধিকার

জুন ১৯ ২০২১, ১০:৩৬

Spread the love

মোঃ হাসান উল্লাহঃ যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত,সে জাতি তত বেশি উন্নত।দেশের উন্নয়ন শিক্ষার মানদন্ডের উপর নির্ভর করে।শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার।শিক্ষা মানুষের আচার,আচারণ,অভ্যাস ও মানবীয় গুনাবলীর পরিবর্তন করে।বিশ্ব দরবারে সভ্য জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।জ্ঞান অর্জন করে নিজের মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের কল্যাণের কাজ করার জন্য শিক্ষা।এ জন্য আমরা পড়ালেখা করি, জ্ঞান অর্জন করি,এবং শিক্ষিত হই। জীবন জীবিকার প্রধান ভিত্তি হিসেবে মেধা যাচাই এর সুযোগ অর্থাৎ সময় চাই এবং চাকরি চাই।রাষ্ট্রের কাছে কি আমাদের এই অধিকার টুকু নেই?

২০ বছর ধরে অর্জিত সার্টিফিকেটের মেয়াদ কেন ৪ বছর?কেন আমাদের মেধাকে বয়সের ফ্রেমে আটকে দেওয়া হয়?আমাদের মেধা যাচাই এর সুযোগ দেওয়া কি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়?প্রতি বছর বয়সের ফ্রেমে ঝরে যাচ্ছে হাজারো মেধাবি শিক্ষার্থী।রাষ্ট্রের প্রতি অভিমান করে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নেয় অনেকই।মুহুর্তে ধূলিসাৎ হয়ে যায় তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটি পরিবারের আশা ও স্বপ্ন।দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ার সত্ত্বেও করোনা কালীন সময়ে সাধারণ মানুষের নিরাপাত্তার জন্য সরকারে গৃহিত পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রসংশানীয়।সেখানে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া সময়ের প্রতি সরকারের নিরবতা অত্যন্ত দূঃখনীয়।
পড়ালেখা শেষ করে যখন আমরা চাকরির পরীক্ষা দিতে যায় তখন আমাদের সম্মুখীন হতে হয় নতুন অভিজ্ঞতার কেননা একাডেমিক পড়ালেখার সাথে এর কোন মিল নেই।ফলে নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হয় জীবন যুদ্ধে চাকরি নামে সোনার হরিণের জন্য।এখানে আমরা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো বড় অসহায়।নিজের ও পরিবারের ভরণ পোষণ এবং চাকরির প্রস্তুতি একসাথে হয় না।যখনই হয় তখন আর সময় থাকে না।এ এক বড় ট্রাজেডি।আমরা অনেক কষ্টে অপেক্ষার প্রহর গুনে দিন কাটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।দিন শেষে আমরা ও স্বপ্ন দেখি পরিবারের বৃদ্ধ মা-বাবা মুখে হাসি ফুটাতে,সার্থক করতে তাদের পরিশ্রমকে।কিন্তু বাস্তবতা আমাদের জন্য অনেক নিঠুর। মনে হয় হাজারো দুঃখ বেদনা নিয়ে ভালো থাকার অভিনয় করার জন্য আমাদের জন্ম।আমাদের জীবনটা অভিনয় জগৎতের বড় রঙ্গ মঞ্চ।আমাদের যোগ্যতা আছে,কিন্তু কর্মক্ষেত্র নেই।আমাদের মেধা আছে,যাচাই করার সময় নেই।এই চাপ সহ্য করতে না পেরে জীবন যুদ্ধে পরাজয় বরণ করে পৃথিবীর মানুষ গুলোর প্রতি এক অজানা ক্ষোপ রেখে আত্নহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এ দায়ভার কার?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপনার কাছে একক ভাবে বিচার চেয়ে কেঊ নিরাশ হয়নি।প্রত্যেকটি হত্যার সুষ্ঠু বিচারে আপনার কঠোরতা আমরা দেখেছি।যখন আমাদের হাজার হাজার ভাই চাকরি বয়সসীমা পার হওয়ায় আত্নহত্যা করে,হাহাকার হয়ে যায় একটি পরিবারের স্বপ্ন,কাল বৈশাখী ঝড়ের মত এলোমেলো হয়ে যায় আমাদের জীবন।তখন আপনার নিরবতা শোভা পায় না।অসহায় শিক্ষিত বেকারের আর্তনাদ কি আপনার কানে পৌছায় না?

মুজিব বর্ষে শিক্ষিত বেকারের শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করে শিক্ষিত বেকার যুবকের মনে আশার সঞ্চার করুন।জাতীয় দায়ভার থেকে মুক্ত হউন।এ যুব সমাজ আপনার কাছে চির ঋণী থাকবে এবং শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে আপনার এই অবদান।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও