ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গীতে তুচ্ছ ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যসহ ৪ জন আহত

জুলাই ১৭ ২০২১, ১৪:১২

Spread the love

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই মাহাতবস্ত্রী গ্রামে ছাগলের বাচ্চা কাঠালের বিচি খাওয়া কে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর এক সদস্য কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।এতে আহত হয়েছেন ৪ জন।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই মাহাতবস্ত্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনা সূত্রে জানা যায় ছাগলের বাচ্চা কাঠালের বিচি খাওয়ার ঘটনাকে কে কেন্দ্র দুপক্ষের মধ্য কথাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রহিম ও তার ছেলে রাজু, ইয়াছিন, মহসিন নাজমুল, সীমা ক্ষিপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য হায়দার ও তার ভাই মোস্তাফিজুর,জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রী নাসিমা সহ তার পরিবারের সদস্যদের কে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।এতে সেনাবাহিনীর সদস্য হায়দার ও তার পরিবারের সদস্যদের মাথা ফেটে যায় এবং সদস্যদের বিভিন্ন অংশে যখম করে।এতে সেনা সদস্য হায়দার তার ভাই মোস্তাফিজুর,জাহাঙ্গীর এবং স্ত্রী নাসিমা সহ গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে পরে থাকেন। কেউ তাদের কে হামলাকারীদের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি না করলে স্হানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান কে খবর দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় তাদের কে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

আহত সেনা সদস্য হায়দার আলী জানান, আমি কর্মরত অবস্থায় করোনায় পজেটিভ হলে সেখানে ১৪ দিনে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার পরে ছুটিতে আসি। আমি সম্পূর্ণ অবস্থায় ঘরেতে অবস্থান করি।আমি ঘর থেকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ শুনতে পেলে ঘর থেকে বের হয়ে এসে দেখি আমার চাচা রহিম আমার স্ত্রী সন্তানের উপর গালিগালাজ করছে এবং তার বাকি ভাইদের হামলার উদ্দেশ্যে ফোন করে ডেকে নেয়।তারা তাৎক্ষণিকভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ও লাঠিসোঁটা রোড নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়।আমার উদ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এ ঘটনার আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।

অপর পক্ষে রহিমের স্ত্রী জয়গুন জানান, হায়দার ও তার স্ত্রী আমার মেয়ের চুল ধরে টানাটানি ও মারপিট করলে আমরা তাদের কে প্রতিহত করি।

এ ঘটনায় আমজানখোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকালু ডংগা জানান, আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরকারি কাজে নাগর নদীতে যায়,মারামারির ঘটনা আমাকে ফোন করে জানালে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা স্থলে যায়।সেখানে দেখি সেনাবাহিনীর সদস্য হায়দার ও তার পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে আছে। কেউ তাদের কে উঠাতে যায় নি। পরে আমি স্হানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর সদস্য হায়দার ও তার পরিবারের সদস্যদের কে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িতে করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করি।এভাবে একজন সেনা সৈনিক কে হামলা করাটা ঠিক করেনি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও