চপাড়াবাসির নাগরিকত্ব এবং ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

এপ্রিল ১২ ২০২২, ১৮:০১

Spread the love

নজরুল ইসলম লিখন, রূপগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, চনপাড়াবাসি কায়েতপাড়া ইউনিয়নে বসবাস করলেও তাদের কোাাাা পরিচয় ছিল না। নিজদেশে পরবাসর মত থাকত তারা। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারত না। জন্ম নিবন্ধন করতে পারত ন। সরকারী কোনো সুযোগ ুবিদাপেত না। আমি তাদেও নাগরিকত্ব ও ভোাািিধকাা ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি ঘরে বসে সাহেবদের মতো রাজনীতি করি না। সপ্তাহে তিন দিন আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় থাকি। মানুষের ঘরে ঘরে যাই। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাই তাদের সাথে কথা বলি। মানুষের মনের কষ্ট বুঝার চেষ্টা করি। তারপর উন্নয়ন করি।

চনপাড়াবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, চনপাড়াবাসী আমার জন্য অনেক দোয়া করেছে। তাদের দোয়ায় আল্লাহ আমাকে সুস্থ করেছেন। আমি চেষ্টা করছি আপনাদের উন্নয়নের জন্য। অনেক রাস্তা হয়েছে। অনেক রাস্তা হচ্ছে। কোনো রাস্তা বাকী থাকবে না। তাহের সাহেব এবং মালেক সাহেব চনপাড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। উনারা চনপাড়ায় আওয়ামীলীগের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন। তাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তাদের নামে একটা প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। ইতোমধ্যে আমি তাহের -মালেক ইনিস্টিটিউট করেছি। কিছু দিনের মধ্যে তা চালু হবে। ১০ বছর আপনারা বিনা টাকায় গ্যাস ব্যবহার করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ দিলে আমি আবার আপনাদের গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করে দেবো। একটা সময় আপনাদের ভোটের অধিকার ছিলো না। অনেক চেষ্টা করে আমি আপনাদের ভোটের অধিকার ফিরে দিয়েছি। আপনাদের স্থায়ী করার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবো। চনপাড়া বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আমানত। আমি চাই তারা এখানে থাকবে।

সোমবার ১১ এপ্রিল চনপাড়া শেখ রাসেলনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কোনো কাজ বন্ধ রাখিনি। রূপগঞ্জের একটি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হয়েছে। প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন বাড়ছে। রূপগঞ্জের মধ্যে চনপাড়ায় শিক্ষার হার বেশি। সামনে নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের পর উন্নয়ন করে যাচ্ছে। কায়েতপাড়ার উন্নয়ন হচ্ছে। চনপাড়া সিঙ্গাপুরের মতো হবে। ইউপি চেয়ারম্যানকে আমি বলবো আপনি চনপাড়াবাসীর দিকে নজর রাখবেন। আমরা কেউ ফেল করিনি। চনপাড়া থেকে আমাদের দুইজন মেম্বার নির্বাচিত হয়েছে। আমাদের উন্নয়ন দেখে জনগণ আপনাদেরকে ভোট দিয়েছে। চনপাড়াবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কন্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে আপনারা আবার জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
মন্ত্রী বলেন, জাহেদ আলী সাহেব চনপাড়াবাসীর ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে। চনপাড়া না থাকলে আপনে জিন্দিগিতে চেয়ারম্যান হতে পারতেন না। আমি চনপাড়ার প্রতি খেয়াল রাখি। আপনিও চনপাড়ার প্রতি খেয়াল রাখবেন। তাদের হক আপনি আদায় করবেন। যা যা সুযোগ সুবিধা আছে আপনি তাদের জন্য ব্যবস্থা করবেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, চনপাড়ার প্রতি আমি এখনও অসন্তুষ্ট। কারণ মাদক ও সন্ত্রাস এখনও দমন হয়নি। চনপাড়ায় মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আমি সবার সাথে বসবো। চনপাড়াকে মাদক সন্ত্রাস মুক্ত করবো। আমার ছেলে চনপাড়াবাসীকে অনেক ভালোবাসে। আমার স্ত্রীও চনপাড়াবাসীকে ভালোবাসে। তাদেরকে ছেড়ে আমরা যাইনি। আপনারাও আমাকে অনেক ভালোবাসেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনার ভয়ে অনেকে ঘর থেকে বের হতো না। তখন খেটে খাওয়ার সুযোগ ছিলো না। আমি আপনাদের ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। রূপগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিলিফ আমি দিয়েছি চনপাড়াতে। প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ৭ নং ওয়ার্ডেও কাজ করতে হবে।
এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহেদ আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান মো: বজলুর রহমান, ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিনা আক্তার রিতা, ওমর ফারুক সহ চনপাড়া ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও