স্কুল ছাত্রীকে পিটানো অভিযুক্ত শিক্ষক পূর্বে গণধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় কারাভোগকারী

জুলাই ০৫ ২০২২, ২২:৪৩

Spread the love

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় দুইজন স্কুল ছাত্রীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক এর আগে একটি গণধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় কারাভোগ করেছিল। চার বছর আগের সেই ঘটনার পর বছরখানেক কারাভোগ করলেও পরে রাজনৈতিক তদবিরে আবারো চাকরিতে পুনর্বহাল হন। পরে গত ২ জুলাই সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তিনি।

এদিকে ৩ জুলাই রোববার দুপুরে বরপা হাজী নূর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের জরুরি সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ঘটনাটির তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসনও।
শনিবার দুপুর ১২টায় দুই ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের স্বজনরা থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

আহত দুই ছাত্রী হলেন উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাগানবাড়ি এলাকার মৃত মোমেন ভূঁইয়ার মেয়ে তানজিলা আক্তার (১৪) ও তারাব পৌরসভার বরপা কর্নগোপ এলাকার রাসেল মিয়ার মেয়ে সামিয়া সিমি (১৩)। তারা ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা দুজনেই বর্তমানে উপজেলার ইউএস বাংলা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১২ মার্চ রূপগঞ্জ থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা হয়। এতে প্রধান আসামী করা হয় জসিমউদ্দিনকে। তিনি উপজেলার বাগানবাড়ি এলাকার হেছামউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে। ওই মামলায় তিনি তখন গ্রেপ্তার হন। ২০১৮ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এদিকে শনিবারের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরপা হাজী নূর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই আনন্দে ছাত্রীরা সবাই স্কুলে চুমকি মাখামাখি শুরু করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যান অভিযুক্ত জসিমউদ্দিন। পরে তাদেরকে বাঁশের বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তিনি। আঘাত সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুই ছাত্রী। পরে তাদের ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা স্থানীয় ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

প্রধান শিক্ষক জহর লাল ঘোষ জানান, ‘মারধরের বিষয়টি আমলে নিয়ে স্কুল কমিটির সবাই মিটিং করে শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে যাব।’

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও