জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে যানজটের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এখন অনেকাংশেই ফাঁকা
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ যানজট যেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী জ্বালানি তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারণে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ঢাকা সিলেট মহাসড়ক এখন ফাঁকা। ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল কমে গেছে। রূপগঞ্জ অংশের চীর চেনা যানবাহনের জটে নাকাল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এখন ফাঁকা প্রায়। খানিক পর-পর দেখা মিলছে যানবাহনের।
শনিবার(৬আগষ্ট) থেকে জ্বালানি তেলের মুল্য বৃদ্ধি কার্যকর হওয়ায় যানবাহন চলাচলে খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের সঙ্কায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল অনেকাংশে কমে গেছে। এদিকে যানজট যার নিত্যসঙ্গী সেই মহাসড়ক এখন ফাঁকা। ভাড়া বাড়িয়ে লেগুনা,অটো রিক্সা চলাচল করছে।নিত্য দিনের যানবাহনের জটে নাকাল মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা। অন্য দিনের তুলনায় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, পিকআপসহ সব ধরনের যান অনেক কম চলাচল করছে।
এদিকে মহাসড়কে খুব কম সংখ্যক লোকাল ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও অন্যান্য দিনের ন্যায় ও যাত্রী চাহিদা অনুপাতে প্রয়োজনের তুলানায় যানবাহন চলাচল কমে গেছে। উপজেলার রূপগঞ্জ অংশে ভুলতা গাউসিয়া,
গোলাকান্দাইল,বরপা,রূপসী বিশ্বরোড সহ সকল বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী উপস্থিতির তুলনায় পরিবহনের সল্পতা লক্ষ করা গেছে। সড়কে গণপরিবহন চাহিদার তুলনায় কম হওয়ার কারণে কর্মস্থলমুখী ও যাত্রী সাধারনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বরপা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী যাত্রী জান্নাতুল মাওয়া বলেন,প্রায় প্রতিদিন এ মহাসড়কে যানজটে পরে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হতো। আজ এ সড়ক ফাঁকা ১ঘন্টা যাবত পরিবহনের জন্য দাড়িয়ে আছি।
উপজেলার রূপসী বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষারত যাত্রী সামিউল জানান,নরসিংদীর শেখেরচর যাবেন সকাল ৯টা থেকে বাসের অপেক্ষা করছেন ১০টা বাজে এখনও গাড়ি পাচ্ছেন না। অল্পসংখ্যক গাড়ি চলাচল করলেও যাত্রী চাপে উঠতে পারছেন না।এদিকে লেগুনা দিয়ে প্রমমে ভুলতা গাউসিয়া যেয়ে ওখান থেকে আরেক লেগুনায় চরে যাওয়া গেলেও ভাড়া অনেক বেশি। হুটকরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে যানবাহন কম চলায় এ অবস্থা তৈরী হয়েছে।
ভুলতা গাউসিয় থেকে যাত্রাবাড়ি চলাচলকারী লেগুনা চালক বাবুল মিয়া বলেন হটাৎ,ডিজেল লিটারে ৩৪টাকা দাম বাড়ায় খরচ বেড়ে গেছে । আগের ভাড়ায় যাত্রী টানলে মালিককে গাড়ির জমা দিতে পারবেনা বলে অনেক গাড়ি বের হয়নাই। আমি যাত্রীদের বুঝাইয়া ২০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ৩০ টাকা চেয়ে নিচ্ছি। এতে মাঝে-মধ্যেই যাত্রীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। এ অবস্থায় গাড়ি চালাতে পারবনা।
সাওঘাট এলাকার পরিবহন ব্যাবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন, ঢাকার সায়েদাবাদ টর্মিনাল থেকে তার ৩টি যাত্রীবাহি বাস বিভিন্ন রোডে চলাচল করে।সকালে যথারীতি সব গুলো গাড়ি রাস্তায় বেরুলেও দুইটি গাড়ি জ্বালানী তেলের হটাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া নিয়ে যাত্রিদের সাথে বাক-বিতন্ডতা করে চালক গাড়ি বন্ধ করে চলে গেছে। চরা দামে তেল কিনে আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে লোকসান দিতে পারবনা । তাই গাড়ি বন্ধ রাখার চিন্তা করছি।