নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের প্রেমিকা হিসাবে নাম আসায় প্রতিবাদ জানান আরিশা

নভেম্বর ১৩ ২০২২, ১৮:১৯

Spread the love

আনোয়ার হোসেনঃ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের প্রেমিকা হিসেবে নাম আসায় প্রতিবাদ জানিয়েছে

আরিশা আশরাফ নামে এক তরুণী। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এই প্রতিবাদ জানান। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন,

আপনারা যারা মিডিয়ার ফেইক নিউজ শুনে নিজেদের মতো জাজমেন্ট দিয়ে দিচ্ছেন তা সবাই দয়া করে শুনে রাখুন, মিডিয়ার করা অধিকাংশ নিউজই মিথ্যা।

শুধু কিছু একটা লিখতে হবে দেখে তারা মনের মতো লিখে যাচ্ছে। তার প্রমাণ আরিশা আর বুশরাকে মিক্স আপ করে ফেলা। আমি আরিশা আশরাফ। আমি আহমাদুল্লাহ্ বুশরা নই।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন সেখানে তিনি লিখেছেন, ফারদিন নূর আমাকে ঐ দিন ড্রপ করতে আসেনি। আমি আরিশা আশরাফ। আমি আহমাদুল্লাহ্ বুশরা নই।

আরটিভি’র মতো স্বনামধন্য একটা টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমগুলোর এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করাটা আসলে মরার ওপর খাড়ার ঘা এর মতো। সেই সংবাদ এর নিচের কমেন্টগুলো দেখলে একটা সুস্থ মানুষের পক্ষে শান্ত থাকা সম্ভব না।

আপনারা যারা মিডিয়ার ফেইক নিউজ শুনে নিজেদের মতো জাজমেন্ট দিয়ে দিচ্ছেন তা সবাই দয়া করে শুনে রাখুন, মিডিয়ার করা অধিকাংশ নিউজই মিথ্যা। শুধুমাত্র কিছু একটা লিখতে হবে দেখে তারা মনের মতো লিখে যাচ্ছে। তারা কতটা মাতালের মতো নিউজ বানাচ্ছে

সেটার প্রমাণ আরিশা আর বুশরাকে মিক্স আপ করে ফেলা। আজকে RTV এর নিউজটা দেখে Tamim Bin Noor (ফারদিন নুরের আপন ছোট ভাই)কে জিজ্ঞেস করলাম যে, “ভাইয়া কি করব?” ওরা এতটাই বিরক্ত যে বলল, “আপু বাদ দেন যা মন চায় করুক ওরা।”

#### এই অংশটা দয়া করে একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। ফারদিন নূরের কোনো প্রেমিকা ছিল না। না আমি আর না বুশরা আমরা কেউই তার প্রেমিকা ছিলাম না। আমার ব্যাপারটা আমি পরের পোস্টে ক্লিয়ার করব,

আগে বুশরারটা বলি। ফারদিন নূর যখন নিখোঁজ ছিল, তখন তার ল্যাপটপটা পুলিশ সিজ করার আগে তার ভাইয়েরা বুশরার সাথে তার ম্যাসেনজার কথোপকথন সম্পূর্ণ পড়েছে। যেখানে এমন কিছুই পাওয়া যায় নি যেটা বিন্দুমাত্র আপত্তিকর।

সে আর ১০ টা ছেলের মতো ছিলোই না। এসব কখনোই তাকে স্পর্শ করতে পারি না। এই জন্য তাকে রোবট নামে ডাকা হতো। নামটা Sudeepa Haldar এর দেওয়া। তার কথা বলার টপিকই ছিল বই অথবা ভালো কোনো মুভি অথবা ফিলোসোফিক্যাল কোনো আলোচনা।

তার সবচেয়ে কাছের মানুষ সাজ্জাজ ভাইয়ার একটা পোস্টের লিংক দিয়ে দিব কমেন্টে, ঐটা পড়লে তার সম্পর্কে একটু আইডিয়া পাবেন। আমার সাথে তার কি সম্পর্ক সেটা আমি নেক্সট পোস্টে জানাবো। দয়া করে একটা মৃত মানুষকে নিয়ে না জেনে তার ব্যাপারে উল্টা পাল্টা কথা রটাবেন না। তার পরিবারের কথাটা একটু ভাবুন। একটু সমমর্মি হোন, for God Sake.

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও