ঠাকুরগাঁওয়ে ভাষা সৈনিক দবিরুল ইসলামের স্মৃতিসৌধে পরিবারের শ্রদ্ধাঞ্জলি
জেলা প্রতিনিধিঃ মহান একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভাষা সৈনিক মরহুম অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলামের স্মৃতিসৌধে তার সন্তানরা ও পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন।
সোমবার একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২ টা ১ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরের নির্মিত ভাষা সৈনিক মরহুম অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলামের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার বড় ছেলে মুহাম্মদ আহসান হাবীব বুলবুল ও ছোট ছেলে আহসান উল্লাহ (ফিলিপ) সহ তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা।
এর আগে দবিরুল ইসলামের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। পরে জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
জানা যায়, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের এক সাহসী নাম দবিরুল ইসলাম। ভাষা আন্দোলনে যার ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনা পর্বে যে কজন সাহসী সূর্যসন্তান তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল দবিরুল ইসলাম ছিলেন সেই সাহসী ও স্বপ্ন সারথিদের অন্যতম একজন। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ন্যায্য আন্দোলন, পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন, যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন এসবের পেছনে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি।
যাদের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন সেদিন বেগবান হয়েছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৪৯-১৯৫৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আইন বিভাগের ছাত্র, সাবেক এমএলএ, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি (যুক্তফ্রন্ট) ও ভাষা সৈনিক মরহুম অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলাম তাদেরই একজন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় বর্তমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেলা কারাগারে নিয়ে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। যার ফলে তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালের ১৩ জানুয়ারিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।