মোরেলগঞ্জে অবৈধভাবে সরকারি খাল দখল করে দোকানঘর  নির্মাণ 

মার্চ ১১ ২০২৩, ১৮:১৬

Spread the love

মোঃ ইকরামুল হক রাজিব, ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসন এ কার্যক্রম বন্ধে  পদক্ষেপ নিলেও দুর্গম অঞ্চলে দখলের কর্মযজ্ঞ চলে আসছে।আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে শত শত কৃষক পরিবারকে সেচ সংকটের মুখে ফেলে নিজেদের স্বার্থের জন্য সরকারি খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার  জিউধরা ইউনিয়নের ঘরামী বাজারের পশ্চিম পাশে সরকারি খালের উপর একপাশ দখল করে স্থানীয় সোহাগ ঘরামী, ছালাম হাওলাদার, রফিক শেখ, মোহাজ্জেল ঘরামী, রফিক হাওলাদার, কামাল মৃধা, মিজান ঘরামী, চানমিয়া ঘরামী, রুস্তম  শেখ, মনোরঞ্জন  বৈরাগী ও হানিফ বয়াতী দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। স্থানীয় জাফর হাওলাদার জানান, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে  কৃষক পরিবারকে সেচ সংকটের মুখে ফেলে নিজেদের স্বার্থের জন্য সরকারি খাল দখল করেছে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল।

ফলে অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ এ খালটির পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।  দুর্গম এ এলাকার রাস্তা সংকটের বিকল্প হিসেবে খাল অর্থাৎ পানি পথের যোগাযোগ যেমনি উপযোগী  তেমনি সহজতর ও কম ব্যয়সাপেক্ষ।স্থানীয় বাসিন্দা আকব্বর জজ বলেন, সরকারি  খালের ওপর অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করে খালটির যাতায়াতের আশু ব্যবস্থা  করলে এ বাজারটি তথা এলাকার মানুষ  অনেক উপকৃত হবে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন দিনমজুর বলেন, বর্তমানে খালটি নৌকা চলাচলের উপযোগী না থাকায় আমাকে চারগুন বেশি ভাড়া দিয়ে মালামাল আনতে হয়েছে ভ্যানে।

এটি দখলমুক্ত করে কাটা হলে আমার মতো বহু মানুষ  উপকৃত হতো। স্থানীয় মিজান ঘরামী, নুর মোহাম্মদ ঘরামী ও একাধিক ব্যক্তি জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাল রক্ষার দাবী এবং খালে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে হবে।স্থানীয় জিন্নাত আলী কাজী জানান, এক্ষেত্রে দখলের খবর পাওয়া মাত্রই দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হলে সরকারি সম্পত্তি দখল অনেকটাই কমে আসবে। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খাল দখল করে তিনটি দোকান নির্মাণকারী  চানমিয়া ঘরামী জানান, খালের স্বার্থে  দোকানঘর উচ্ছেদ হলে  এ কাজে তার পূর্ণ সমর্থন  থাকবে।স্হানীয় ইউপি সদস্য  আব্দুল  খালেক জানান, ইতিপূর্বে  খাল দখল করে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করেছিল কিছু মৎস্য ব্যবসায়ী।  পরে প্রশাসনকে অবহিত করে বাঁধ কেটে দখলমুক্ত করা হয়েছে। এখন এসব অবৈধ  দোকানগুলো উচ্ছেদ করা দরকার।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম তারেক সুলতান বলেন, এ সম্পর্কিত একটি  অভিযোগ পেয়েছি, শীঘ্রই খালটি অবৈধ  দখলমুক্ত  করা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও