রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার তারাব এলাকার ত্রাস সেকান্দর

সেপ্টেম্বর ১০ ২০২৩, ২৩:৫৪

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার তারাব এলাকার ত্রাস সেকান্দর। সেকান্দর ও তার বাহিনীর আতঙ্কে তারাবো পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পান থেকে চুন খসলেই অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। ছিনতাই থেকে খুন সবই করে এ বাহিনী। গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসা। গড়ে তুরেছে অস্ত্রধারী বাহিনী। এ বাহিনীর কাছে থানা পুলিশও অসহায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারাব পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করে। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক শিল্পকারখানাও গড়ে উঠেছে। এখানকার আধিপত্য দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সেকান্দর ও তার বাহিনী। শীতলক্ষ্যা নদে নৌ-যানে চাঁদাবাজি, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছিনতাই-ডাকাতি করে বেড়ায় এ বাহিনীর লোকজন। এলাকায় নতুন কেউ বাড়ি কিংবা ব্যবসা করতে গেলে সেকান্দর বাহিনীকে চাঁদা দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে হয়। জানা গেছে, তারবো পৌরসভায় হাটিপাড়া এলাকায় সে মাদকের ডিপো গড়ে তুলেছে। রয়েছে ৪০ জনের অস্ত্রধারী বাহিনী। এ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তার সেকেন্ড-ইন কমান্ড রিফাত ও রাসেল। টোকাই সাব্বির ও কাউসার ছিনতাই-ডাকাতি করে বেড়ায়। আবীর ও শুভ তার জলসা ঘর দেখভাল করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বলেন, সেকান্দরের জ¦ালায় মানুষ অতিষ্ঠ। ওর কথা মতো না হলেই নির্যাতন চালায়। দাবীকৃত টাকা না পেলে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। সারাক্ষণই এ বাহিনীর হাতে দা-ছুরি থাকে। এগুলো নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। গত হাটিপাড়া কেকে স্যাটেলাইট সেন্টার নামে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে।

দাবীকৃত ১০ লাখ না দেয়ায় সেকান্দর ও তার বাহিনী এ ঘটনা ঘটায়। কেকে স্যাটেলাইটের মালিক কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চেয়েছে। বলছে ব্যবসা করতে হলে টাকা দিতে হবে, নতুবা ব্যবসা বন্ধ করে দিকে। চাঁদা না দেওয়ায় আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্যাশ ভেঙ্গে ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, সেকান্দরের বিরুদ্ধে ফয়সাল হত্যাসহ ৮ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে মাদক মামলা। হাটিপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাটিপাড়ার আতঙ্ক সেকান্দর। মানুষ শান্তিতে নাই। ওর নাম শুনলেই ভয় লাগে। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, এ বাহিনী দিনরাত দা-ছুরি, চাপাতি নিয়া ঘুরে।

এমনিতেই ভয় লাগে। সেকান্দরের বাড়ির পাশের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জ¦ালায় আছি আমরা। সারা দিনরাত চলে মাদকের আড্ডা। আর রাত হইলে মাইয়া মানুষ নিয়া ফূর্তি করে।

অভিযুক্ত সেকান্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব সত্যি নয়। আমি উল্টো মানুষকে উপকার করি। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম সায়েদ বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা নিবো।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও