রূপগঞ্জে বাম্পার সবজির ফলনে আশাবাদী কৃষক আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষ

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ শীত এখনও তেমন একটা না পরলেও শীতের সবজির ভাল ফলনে আশাবাদী রূপগঞ্জের কৃষকরা। শীত আসলেই বাজারে নতুন সবজির দেখা মিলে। এবারও তার ব্যাতিক্রম নয়। কিছু সবজি এখনই বাজারে আসতে শুরু করেছে। দামও ভাল পাচ্ছেন কৃষকরা। এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। আবহাওয়া বিরূপ না হলে এবার অনেক লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয় কৃষকরা।
শীতের আগে সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক। ক্রমেই বাড়ছে শীতের আমেজ। টমেটো, আলু, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, করলা, ও ধনেপাতার খেত চারদিকে। সবুজের সমারোহে একাকার মাঠের পর মাঠ। মাঠে মাঠে নতুন সবজির সমারোহ প্রকৃতিকে জানান দিয়েছে শীত আসছে। শীতের আগমনী বার্তায় সবজি ফলাতে ব্যস্ততা বেড়েছে রূপগঞ্জের চাষিদের মধ্যে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সবজির চাষ হবে ২৫০০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। গত বছর উপজেলায় সবজি চাষ হয়েছিল ২৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছিল ৫১ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন। কৃষি অফিস জানায়, কোনো কোনো এলাকায় আগাম জাতের সবজি চাষ শেষ করে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলায় আগাম জাতের শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, মুলা বাজারে উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রূপগঞ্জের দাউদপুর, ভোলাবো, গোলাকান্দাইল, মুড়াপাড়ার ৪০ গ্রামের চাষিরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোথাও চাষ হয়েছে আগামজাতের শীতের সবজি, আবার কোথাও জমি ও বীজ তৈরির কাজ। মাঠে মাঠে কৃষকরা চাষকৃত শীতকালীন সবজির আগাছা পরিষ্কার করছেন। কেউবা আবার আগামজাতের শীতের সবজি বাজারে বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছেন। কথা হয় বাগলা গ্রামের সবজিচাষি সাপাতুল্লাহ মিয়ার সঙ্গে।
তিনি বলেন, মূল শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তিনি এবার নানা জাতের সবজি চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো সবজির ফলন পাবেন।
বাগবাড়ী এলাকার সবজিচাষি আজি মিয়া বলেন, দাউদপুর ইউনিয়নের জিন্দা, কুলুপ, বাগলাসহ ৩০টি গ্রামের কৃষকের প্রধান আবাদযোগ্য ফসল নানা জাতের সবজি। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি, দেইলপাড়া, তালাশকুর, দক্ষিণপাড়া এলাকার কৃষকরাও শীতের সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরজুড়েই এসব গ্রামে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়ে থাকে।
দেইলপাড়া গ্রামের সবজিচাষি আলমাস আলী বলেন, ‘এইবার বাজান সবজি ভালাই অইছে। ব্যবসাও অইবো মনে অইতাছে। এইবার দুই বিঘার মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি আর লালশাক বুনছি। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বেচবার পারমু।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা নূর বলেন, ‘আবহাওয়া এবার সবজির জন্য অনুকূলে। ফলে শীতের সবজির বাম্পার ফলন হতে পারে।’###