চিরিরবন্দরে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লালচে গোলাপি রঙের লিচু

মে ১৯ ২০২৪, ১৮:৩১

Spread the love

এনামুল মবিন(সবুজ),জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ দিনাজপুরের লিচু সারাদেশে স্বাদে ও রসে এগিয়ে ।টুকটুকে লাল রঙ আর রসালোর স্বাদের জন্য দিনাজপুরের লিচুর কদর সর্বত্র। গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লালচে গোলাপি রঙের লিচু। বেদানা লিচুর চাহিদা সব থেকে বশি। মৌসুম এলেই এই লিচুর জন্য অপেক্ষায় থাকেন সবাই।

জানা গেছে, ৭ থেকে ১০ দিন পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু। তবে এখনো অতিরিক্ত তাপদাহে গাছেই লিচু নষ্ট হাওয়ার আশঙ্কা করছে চাষিরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে বাগানের গাছের গোড়ায় পানি ও লিচুর গাছে ছিটানো হচ্ছে কীটনাশক।

দিনাজপুর চাল ও লিচুর জন্য বিখ্যাত। তবে লিচুর রাজ্য হিসেবে দিনাজপুরের আলাদা সুনাম রয়েছে। ১৩টি উপজেলাতেই কম বেশি লিচুর আবাদ হয়। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সদর উপজেলার মাসিমপুর, উলিপুর, আউলিয়াপুর, মহব্বতপুর, বিরলের মাধববাটি, করলা, রবিপুর, রাজারামপুর, মহেশপুর, বটহাট এবং চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলায়। মূলত লিচু চাষের জন্য উপযোগী এ অঞ্চলে লিচু চাষে কৃষকের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দিনাজপুরে লিচু চাষে জমির পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ৪৮৯ হেক্টর। জেলায় লিচু বাগানের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। প্রায় ১৩ উপজেলায় লিচু চাষ হলেও সদর, বিরল ও চিরিরবন্দর উপজেলায় লিচুর চাষ বেশি।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহারা সুলতানা বলেন, দিনাজপুরে লিচু বাজারে আসে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। জেলার ১৩টি উপজেলায় লিচুর চাষ হলেও চিরিরবন্দর বিরল ও সদর উপজেলায় সবচেয় বেশি লিুচ চাষ হয়। এ উপজেলায় প্রায় ৪৭৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। আগাম জাতে লিচুর হিসেবে বাজারে আসবে মাদ্রাজি ও বোম্বাই তারপরে আসবে বেদানা, চায়না থ্রি ও কাঠালি। জেলায় তাপপ্রবাহ বেশি থাকায় লিচু গুটির ক্ষতি হয়েছে। লিচু যেন গাছে নষ্ট না হয় সেজন্য মাঠ পার্যায়ে কৃষকদের গাছের গোড়ায় ও লিচুর গাছে বেশি বেশি পানি স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও