নয়ন জুড়ানো সবুজে মোড়ানো রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ 

জুন ১৯ ২০২৫, ২২:২২

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ উপজেলার পাঁচতলা ভবন ও  আঙিনার যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা মেলে সবুজ আর সবুজতার অরণ্য। অপরূপ প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য উপজেলায় আগতদের বিমোহিত করে।

এমন পরিবেশ আশপাশের কোনো উপজেলায় দেখা মেলে না। উপজেলায় প্রবেশ করলেই দেখা যাবে অপরূপ এক সবুজের অরণ্য। এছাড়া প্রায় ২ হাজার বিভিন্ন লেখকের বই দিয়ে একটি লাইব্রেরি রয়েছে উপজেলায়।  আগন্তুকরা লাইব্রেরিতে পড়াসহ আড্ডায় মাতে। শুধু ভবনে নয়। উপজেলার বাহিরের বিভিন্ন স্থানজুড়ে রয়েছে নানান প্রজাতির গাছ।

উপজেলার ভেতরের চারপাশে সবুজ অরণ্য আর প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ উপজেলায় একবার এলে সে সবুজের প্রেমে পড়তে বাধ্য হবে। আর এসবের নেপথ্যের নায়ক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম।  সবুজায়নে তিনি রূপজেলা পরিষদের সব দপ্তর, আঙিনা, বারান্দা ঢেলে সাজিয়েছেন।

কায়েতপাড়ার নগরপাড়া থেকে  উপজেলায় সেবা নিতে এসেছেন রায়হানা সুলতানা কনা। তিনি বলেন, সবুজ-শ্যামলে ভরা উপজেলায় এসে মনটা ভরে গেলো। আগে যখন আসতাম কেমন যেন মরা-মরা লাগতো। আজ (রবিবার) যেনো এক নতুন উপজেলা দেখলাম।  দাউদপুরের থেকে সেবা নিতে আসা  হালিম মিয়া বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলায় গেলে এখন নয়ন জুড়িয়ে যায়। আগে এমনটা ছিলো না। উপজেলার সব দপ্তরে, অফিসের সামনে, বারান্দায় যেনো সবুজের সমারোহ। মনটা ভাল লাগে। ইউপি সদস্য মাসুম আহম্মেদ বলেন, আসলে একটা উপজেলার মূল যে জায়গা, যেখানে মানুষ সেবা পায়। ঐ জায়গাটা যদি মনোরম ও সবুজায়ন হয় তাহলে ভাল লাগে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লি ইসলাম তৃষা বলেন,  সবুজ ঘেরা উপজেলার সাথে জড়িয়ে আছে ভালোবাসা। আসলে যেনো আর বের হতে মন চায় না। সবার একটাই স্বপ্ন, আগামীর পথচলা সবুজের মতো সৌন্দর্যময় ও বিশাল হোক। উপজেলা প্রকল্প অফিসার আইমিন সুলতানা  বলেন, আমি যখন জয়েন করেছি তখনো উপজেলা এতো সুন্দর ছিলো না। এখন উপজেলার সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। এসে যখন সবুজ অরণ্য দেখতে পাই তখন মনটা ভাল  হয়ে যায়। আমাদের কাছে যারা সেবা নিতে আসেন তারাও সবুজের সৌন্দর্যকে উপভোগ করে। উপজেলা মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এর আগে ২ বছর ছিলাম এ উপজেলায়। কোন পরিবেশ ছিলো না। এবার এসে দেখলাম এ এক সবুজ উপজেলা। এখন কাজ করতেও  ভাল লাগে। পরিবেশটা খুব সুন্দর হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, আমরা উপজেলাকে সবুজায়ন করা চেষ্টা করেছি। সব জায়গায়, সব ক্ষেত্রে সবুজায়ন করা দরকার। যেভাবে আবহাওয়া উষ্ণ হচ্ছে আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে  তাতে করে সবুজায়ন না করলে আমাদের পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।

তিনি মনে করেন, প্রতিটি উপজেলায় এমন সবুজায়ন  থাকলে উপজেলার  কর্মকর্তা ও  উপজেলায় সেবা নিতে আসা লোকজনের মন সতেজ হবে। লোকজন উদ্বুদ্ধ হবে বাড়িতে, অফিসে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে  সবুজায়ন করার।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও