পলায়নের পরে শেখ হাসিনাকে আদালত অবমাননার মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

দৈনিক আগমনীঃ ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে পলায়নের পরে তার নির্দেশে সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বুধবার (২ জুলাই) এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে পলায়নের পরে প্রথম কেনো মামলায় শেখ হাসিনার সাজার রায় হলো। গত বছরের অক্টোবরে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এটিই ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়।
এ মামলার অন্য আসামি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলমকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, তারা আদালতে আত্মসমর্পণের পর বা যেদিন গ্রেফতার হবেন, সেদিন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে।
‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অনলাইনে এমন একটি বক্তব্যের অডিও ছড়িয়ে পড়েছে। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথোপকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সত্যতা পেয়েছে। অডিওর বক্তব্য শেখ হাসিনার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ও শাকিল আকন্দ বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।
৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার এ অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কোনো জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর এ মামলার বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে গত ১৯ জুন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিক্যাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশন জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেননি।