নজরুল ইসলাম লিখনঃ নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় জেলা বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও গুলি চালিয়েছে পুলিশ৷ এতে ক্ষুব্দ হয়ে পাল্টা ইট-পাটকেল ছুড়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সোয়া চারটার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর সেতুর ঢালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাঁচপুর সেতুর পূর্বপাশের ঢালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জড়ো হতে শুরু করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।এ সময় পুলিশ মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে তর্ক বাধে।  এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান৷ পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়লে বিএনপির কর্মীরা ইট-পাটকেল মারতে থাকেন।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ এ সময় সোনারগাঁ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে৷ পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, কাঁচপুর সেতুর ঢাল থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তবে পুলিশ বলছে, বিনা অনুমতিতে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করছিল বিএনপির নেতা-কর্মীরা৷ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, ‘পদযাত্রা করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি ছিল না৷ বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন তৈরি করছিল। পুলিশ তাদের মহাসড়ক ছেড়ে দেবার কথা বললে উল্টো চড়াও হয়৷ পরে পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অ্যাকশনে যায়।’

‘পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছোড়া হলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়৷ পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে৷ পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে’, যোগ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।