ঠাকুরগাঁও গভঃ হাই স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির অনিয়মে ডিসি’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

জুন ১৬ ২০২১, ২০:৩৩

Spread the love

নুর আলম, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁও সরকারি বালক-বালিকা উচ্চ বিদ‍্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির অনিয়মে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি ভূক্তভোগী পরিবার।

আজ বুধবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের কাছে এ সব অভিযোগ তুলে ধরেন ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে নীলুফার ইয়াসমিন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামী ডা. মো: আব্দুল্লাহ সহকারী পরিচালক (সিসি), গত ২৩/০৬/২০ইং তারিখ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ঠাকুরগাঁও-এ যোগদান করেন। ঐ দিন স্কুল কমিটিসহ ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক/বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সভা হয়। আমার স্বামী পঞ্চগড় জেলায় কর্মরত থাকা কালিন সময়ে আমার ছেলে চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। সরকারি বিধি মোতাবেক আমার ছেলেকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিল করি।

জেলা প্রশাসক ভর্তির কাগজপত্র জমা দিতে বলললে কাগজ পত্র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব. কুতুবউল আলম এর কাছে জমা দেই। এডিসি বিষয়টা পরে দেখবেন বলে আসস্থ করেন । করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রায় এক বছর পর গত ০৩ জুন স্কুল কমিটিকে নিয়ে সভা করে ভর্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ১০ জুন পূনরায় সভা করে অতি গোপনে প্রায় ২৫ জন ছাত্র/ছাত্রীকে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নিজের মনমত শিক্ষার্থী বাছাই করে। দীর্ঘ এক বছর জেলা প্রশাসক আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। আমার স্বামী প্রজান্ত্রণের একজন প্রথম শ্রেণি কর্মকর্তা এবং সরকারের ৫ম গ্রেডে বেতন ভাতাদি উত্তোলন করেন। যা জেলা প্রশাসকের সমতুল্য।

তিনি আরো বলেন কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তি নেয়ার বিষয়টিতে আমিসহ আমার পরিবারকে মানসিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন‍্য করেছে। আমি কোন জায়গায় এর সুরাহা না পেয়ে আপনাদের স্বরণাপর্ণ হলাম। আমি ও আমার শিশু সন্তানের অধিকার পেতে আপনারা আমার পাশে থাকবেন এই প্রত‍্যাশা করছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও