ধুপখোলা মাঠে খেলতে আর বাঁধা নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

জুন ২২ ২০২১, ২৩:০৫

Spread the love

খুররম মুরাদ, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র খেলার মাঠে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সংস্কার ও মার্কেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে পিলার বসানোর ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

সোমবার (২১ জুন) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের মধ্যকার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় অবস্থিত ধূপখোলা মাঠ নামে পরিচিত মাঠটিকে সংস্কার করে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। দ্রুতই শুরু হবে সংস্কার কাজ। মাঠে বসানো পিলারগুলোও দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা হবে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আশ্বস্ত করে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, মাঠ সংস্কার হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সবাই মাঠে আগের মতোই খেলাধুলা করতে পারবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের সাথে আজ মিটিং হিয়েছে। শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারবে। সিটি কর্পোরেশন পিলারগুলো দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না নিয়ে মাঠে খুঁটি বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঠটি আমাদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা নেই। সিটি কর্পোরেশনের মাস্টারপ্ল্যানের একটি অংশ হিসেবে তারা মাঠ সংস্কার করে আরও উন্নত করা হবে। আমাদের আগের মতোই খেলাধুলার সুজোগ থাকবে।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামানসহ আরও অনেকে।

জানা যায়, গত ১০ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা ও সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী হরিদাস মল্লিক মাঠের ভেতরের ম্যাপ অনুযায়ী চার কোণায় খুঁটি বসান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে মাঠের মধ্যে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়টি নজরে আসার পর পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, জানা যায়, ৭ একর জমির ওপর অবস্থিত ধূপখোলা খেলার মাঠটিকে ১৯৮৪ সালে এরশাদের শাসনামলে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। তার এক ভাগ দেয়া হয় তৎকালীন জগন্নাথ কলেজকে। আর একটি অংশ ‘ইস্ট এন্ড খেলার মাঠ’ নামে একটি ক্লাবের কর্তৃত্বে রয়েছে। অপর অংশটি রাখা হয় জনসাধারণের খেলার জন্য। ঐ মাঠটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার স্থান। যদিও এটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ কি.মি দূরে অবস্থিত এবং মাঠটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নাম্বার ওয়ার্ডের আওতাধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে গতবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সমাবর্তনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও