রাষ্ট্রীয় অবহেলার শিকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজ

জুলাই ০৯ ২০২১, ১০:৩১

Spread the love

রাষ্ট্রীয় অবমাননার শিকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃশিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার।মৌলিক অধিকার শতভাগ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।কেননা যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত,সে জাতি তত বেশি উন্নত।শিক্ষিত জাতির গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য।আজ এ শিক্ষক তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।যে জাতির শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে প্রেস ক্লাবে ইদের নামাজ আদায় করতে হয়,অমরণ অনশন করতে হয়,রাজপথে ভিক্ষার থালা নিয়ে আন্দোলন করতে হয় সে জাতির শিক্ষার মান উন্নয়ন কতটুকু অবদান রাখবে?

দেশে ৯৭% শিক্ষক নামে মাত্র ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫% ইদ বোনাস,নেই কোন বদলি ব্যবস্থা।বার্ষিক বৃদ্ধি ৫% মাসিক কর্তন ১০% এই এক রক্ত চোষা সমীকরণ।১০% কর্তনের বিনিময়ে মৃত্যুর পর পরিবারকে দেওয়া হয় কিছু অবসর সুবিধা।তাও আবার দালালের কমিশন ও পা চাটার পর। এ হচ্ছে আমাদের স্বাধীন দেশের দাস প্রথার আধুনিক হিসাব।

শিক্ষকতা এক মহান পেশা।হ্যা আমরা শিক্ষক, দেশের সম্পদ লুট করি না,টাকা পাচার করি না,বিদেশে আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি হয় না।আমরা শিক্ষ্ক, দিন রাত পরিশ্রম করে দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলার কাজে ব্যস্ত থাকি।একটু বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন সমাজ তথা রাষ্ট্রে কার অবদান বেশি?কারা নিঃস্বার্থে দেশকে সভ্য জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে?

শিক্ষকতা সম্মানের পেশা।এটা শুধু একটা মুখের বলি ছাড়া কিছু না।এসিল্যান্ড শিক্ষককে পিঠিয়ে সম্মান দেখায়।মাস শেষে আমাদেরকে দেওয়া হয় অনুদান তাও আবার ডাক-ঢোল পিঠিয়ে।এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি অফিসে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে স্যার সম্বোধন করতে হয় এটা এক প্রকার সম্মান।দেশের কোন অফিসে আপনারা শিক্ষকদের জন্য সম্মানের চেয়ার বসায় রাখছেন?শিক্ষক পরিচয়ে কি সুবিধা দিয়েছেন?শিক্ষক পরিচয় দিলে আমাদের প্রতি অবহেলা বেড়ে যায় কারণ আমরা তো নিরহ প্রাণী মাত্র।কোন কিছু করার ক্ষমতা আমাদের দেওয়া হয় নাই।কথায় কথায় চাকরি চলে যায় প্রতিবাদ করার নিয়ম নেই।

এসব কিছু থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য,আর্থিক স্বচ্ছলতা ও চাকরির নিশ্চয়তার জন্য আমাদের সকল দাবি পূরণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান ,প্রায় প্রতিটি সংসদীয় আসনে মাননীয় সাংসদের স্বারক লিপি,মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট স্বারক লিপি এবং সর্বশেষ জাতীয় সংসদের প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মনযোগ আর্কষণ সহ নানা পদক্ষেপ নিয়েও আমরা ব্যর্থ হতভাগা এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজ।শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের নিরবতায় কি আমরা এটা বুঝে নিব এদেশে শিক্ষকের প্রয়োজন নেই?

মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী আপনার কাছে আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল কিন্তু আপনার দায়িত্বে আমাদের সান্তনার বানী শোনালে আমাদের কষ্ট অনেকটা দুর হতো।আমরা সহ্য করতে পারি,কারণ শতঁ আশা আঙ্খাকা নিয়ে বুকে পাথর বেধে জীবন যাপন করার নাম শিক্ষকতা এটা আমাদেরকে শিখিয়েছে এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।জাতীয় সংসদে আমাদের দাবি নিয়ে আপনার নিরবতা আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে,কেননা আপনি আমাদের অভিবাবক।আমরা পর্বত সমান আশা নিয়ে সে দিন টিভি সামনে সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠানে আপনার দিকে চেয়েছিলাম।যাক আমরা পায় নাই,আপনারা তো ঠিকই পাচ্ছেন এতে আমরা সন্তুষ্ট।ভালো থাকবেন আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুক আমিন।
শিক্ষা জাতীয়করনণের মাধ্যমে শিক্ষা মান উন্নয়ন সম্ভব।একযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে পি এস সির অধীনে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হউক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আমাদের আর্তনাদের কথা আপনার কানে পৌঁছে গেছে,এতে আমরা আশা বাদী অচিরে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার পাবো।শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষ্যম দূর হবে।কোমল মতি শিক্ষার্থীরা মান সম্মত শিক্ষা অর্জন করতে পারবে।শহর ও গ্রাম কোন পার্থক্য থাকবে না ও নগরায়ন কমবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও