মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করায় জামাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় শ্বাশুড়ি আটক

সেপ্টেম্বর ২৭ ২০২১, ০৮:১৯

Spread the love

জেলা প্রতিনিধিঃ মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অপরাধে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে জামাই নাসিরুলকে মারধরের ঘটনায় শাশুড়ি শিরিনা আক্তারকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে এক যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর-শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, খলিলুর রহমানের ছেলের সাথে একই এলাকার করিমুলের মেয়ের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রেম থেকে তারা পরিবারের অগোচরে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে বিয়ের হলফনামা গ্রহণ করে। পরে তারা দুইজুনে ঢাকায় চলে যান।

এ দিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সম্মতিতে স্থানীয়ভাবে সমাধানের কথা বলে ছেলে-মেয়েকে বাড়িতে আসার ব্যবস্থা করা হয়। নাসিরুলের চাচা দবিরুল বলেন, আমি সহ ছেলে ও মেয়েকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসি। এ দিকে, মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিয়ে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। মেয়ের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ছেলের পরিবার ভীত হয় এবং ছেলেকে ফিরে আসার আকুতি জানায়। মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ছেলেও মেয়েকে পরিবারের কাছে দিয়ে আসে।

পরে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে তার বাসায় যায় ওই যুবক। তখনই মেয়ের বাবা-মা ও চাচা তাকে গাছের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকে। ওই যুবক চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানান এবং বারবার ক্ষমা চান। তবুও তাকে মারধর করতে থাকে মেয়ের পরিবার। শেষে পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও