রংপুর এই ডি ভিলিয়ার্সকে ভুলবে কীভাবে!
পেশাদার ক্রিকেটাররা এমনই। নুন খাই যায় গুণ গাই তার। বাংলাদেশে এসে ক্রিকেটপ্রেমীদের রোমাঞ্চিত করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। প্রশংসাও করেছেন বিপিএল আর দর্শকদের। পিএসএলেও নিশ্চয়ই এমন কথাই বলবেন তিনি। রংপুর সমর্থকেরা তা জানেন। তারপরও মন মানছে? ডি ভিলিয়ার্সের জন্য যে তাঁদের বিরহ দহন লাগছে!
কেন-ই বা লাগবে না? ডি ভিলিয়ার্স এবার বিপিএলে মাঠে নামার আগে ধুঁকছিল পয়েন্ট তালিকার ছয়ে। আজ রংপুরের হয়ে ছয় নম্বর ম্যাচটি খেলার পর দলটির অবস্থান কোথায়? শেষ চারে। একটু কম বলা হলো। গ্রুপপর্বের প্রথম ছয় ম্যাচ শেষে রংপুর ছিল ছয়ে। আর ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে বাকি ছয় ম্যাচ সহ মোট ১২ ম্যাচ শেষে সেই রংপুর-ই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে! ডি ভিলিয়ার্সকে উড়িয়ে এনে রংপুর তো ভাবতেই পারে, টাকাটা জলে যায়নি। বরং পারফরম্যান্সের মণি-মুক্তো হয়ে উঠে এসেছে।
সেই মণি-মুক্তো তুলতে গিয়েও ডি ভিলিয়ার্স একটা বৃত্ত পূরণ করে গেছেন। শুরু করেছিলেন ৩৪ রান দিয়ে থামলেনও সেই ৩৪ রানেই। এ জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে দোষ দিতে পারেন রংপুরের ভক্তরা। কুমিল্লা আজ আরেকটু বেশি রান করলে তো ডি ভিলিয়ার্সকে আরেকটু বেশি সময়ের জন্য ব্যাটিং করতে দেখা যেত। অথচ, বেরসিক কুমিল্লা কি না ৭২ রানে অলআউট! এই ম্যাচ জেতাতে গিয়ে ডি ভিলিয়ার্স অপরাজিত ছিলেন ৩৪ রানে। তার আগের পাঁচ ম্যাচে তাঁর স্কোরগুলো দেখুন—৩৭, ১০০*, ১, ৪১, ৩৪।
রংপুর এই ছয় ম্যাচেই জিতেছে। শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় অন্যান্য ব্যাটসম্যানেরা যেখানে ১১ কিংবা ১২ ম্যাচ করে খেলেছেন সেখানে এই প্রোটিয়া মাত্র ৬ ম্যাচেই উঠে এসেছেন শীর্ষ পনেরোয়। এই শীর্ষ পনেরোজনের মধ্যে ব্যাটিং গড়ে ডি ভিলিয়ার্সের (৬১.৭৫) চেয়ে এগিয়ে শুধু শীর্ষস্থানীয় রাইলি রুশো (৮৫.৬৬)। স্ট্রাইক রেটে (১৬৮.০২) অবশ্য টেক্কা দিয়েছেন বাকি ১৪জনকে। আর এই পনেরো ব্যাটসম্যানের মধ্যে সেঞ্চুরি করা তিনজনের একজনও ডি ভিলিয়ার্স।
শুধু রংপুর সমর্থক কেন, বিপিএল সমর্থকদের ডি ভিলিয়ার্সের জন্য তাই মন পুড়বে না কেন?