ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ,চাচীর পরকীয়ার বলী ভাতিজা

মে ০৯ ২০২১, ১১:৩০

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃরাজশাহী তানোর উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামে চাচীর পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় নৃসংশভাবে খুন হয়েছেন ভাতিজা প্রকাশ কুমার(১৯)। ঘটনার ৬দিনের মাথায় এই ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন তানোর থানা পুলিশ।

তানোর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, মামলার প্রধান আসামিসহ খুনের সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো নিহতের চাচা উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের বাসিন্দা বিমল সিং (৫০), তার স্ত্রী অঞ্জলী রাণী (৩৫), এই দম্পতি বড় ছেলে সুবোধ সিং (১৮) এবং অঞ্জলী রাণীর পরকীয়া প্রেমিক নওগাঁ জেলার নিয়মতপুর উপজেলার সাদাপুর খরিবাড়ী এলাকার বাদল (৪৫)।

পুলিশি জেরার মুখে এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন তারা। এ নিয়ে রাজশাহীর আদালতে পৃথক-পৃথকভাবে জবানবন্দিও দেন গ্রেফতারকৃত ৪ আসামি।

গত ২৮ এপ্রিল রাতে প্রকাশ কুমার উপজেলার কলমা ইউনিয়নের এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের নির্জন রাস্তায় খুন হন প্রকাশ। পরদিন সকালে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত প্রকাশ ওই গ্রামের নির্মল সিং এর ছেলে। রাজশাহী মহানগরীর মিষ্টি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নবরূপের কর্মী ছিলেন তিনি। লকডাউনে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন তিনি। এ নিয়ে ২৯ এপ্রিল সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা। মামলা নম্বর- ২৬।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, বিমল সিং এর স্ত্রীর সঙ্গে তিন বছর ধরে পরকীয়া চলছিল পার্শ্ববর্তী নিয়মতপুর উপজেলার সাদাপুর খরিবাড়ী এলাকার রাজমিস্ত্রী বাদলের। স্বামীর অবর্তমানে প্রায় বাদলের সাথে শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হতেন অঞ্জলী।
তবে লকডাউনের কারণে বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন বিমল সিং এর ভাতিজা প্রকাশ কুমার। তিনি চাচির পরকীয়ার বিষয়টি জেনে যান। জানাজানির শঙ্কায় চাচি অঞ্জলী ও তার পরকীয়া প্রেমিক বাদল, প্রকাশকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। অঞ্জলী ভুল বুঝিয়ে এই পরিকল্পনায় যুক্ত করে স্বামী ও বড় ছেলেকে।

গত ২৮ এপ্রিল দিনগত রাতে স্ত্রীর কথামত শিক্ষা দিতে বিমল ভাতিজা প্রকাশকে এনায়েতপুর চোরখৈর ফসলি মাঠের নির্জন রাস্তার ধারে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় তার ছেলে সুবোধ সাথেই ছিলেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো বাদল ও অঞ্জলী। সেখানে পৌঁছামাত্রই বাদল রাম দা দিয়ে প্রকাশের মাথায় কোপ দেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন প্রকাশ। সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

পুলিশ বলছে, ঘটনার পর যে যার মতো বাড়ি ফেরে। ক্লুলেস হত্যাকান্ড হিসেবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামলা দায়েরের পর ১ মে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার হয় প্রধান আসামি বাদল। তাকে সাত দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যা রহস্য।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও