ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে ডাকাতের হাতে শিশু নিহত

জুলাই ০৮ ২০২১, ১৩:০৪

Spread the love

এম মিজানুর রহমান মিনহাজ, ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলা সদর থানা ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা রিকশাচালক মঞ্জুর আলম এর ঘরে অজ্ঞাত একদল ডাকাত ডাকাতি করেন। ডাকাতি করতে গিয়ে ঘরে থাকা ৩ মাসের এক কন্যা সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করে। ডাকাতরা শিশুর মাকে দঁড়ি দিয়ে বেধেঁ ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, দামী মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। নিহত শিশুটি মঞ্জুর আলম ও শাহনাজ বেগম দম্পতির ২য় মেয়ে মারিয়া বেগম। তাদের ২ বছর বয়সী আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

বুধবার সকালে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন ও তদন্ত (ওসি) আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে দরজা খুলে ৪ জন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। যাদের সকলের শরীর কালো পোশাক দিয়ে ডাকা ছিল। ঘরে প্রবেশ করার বিষয়টি টের পান মঞ্জুরের স্ত্রী শাহনাজ বেগম। একপর্যায়ে ডাকাতরা শাহানাজের হাত-পা ও মুখমণ্ডল বেঁধে ডাকাতি করেন৷ ডাকাতি চলাকালে শাহানাজের ৩ মাসের ঘুমন্ত শিশু মারিয়া সজাগ হয়ে কান্নাকাটি করলে ডাকাতরা তাকে ঘরের পিছনে থাকা পুকুরে ফেলে হত্যা করে। ঘরে থাকা নগদ  টাকা, ১ ভড়ি স্বর্নলংকার ও দামী মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

ডাকাত দল যাওয়ার পর শানাহাজ শব্দ করলে ঘরে থাকা তাঁর ঘুমন্ত স্বামী মঞ্জুর আলম ও শানাহাজের শ্বাশুড়ী সজাগ হয়ে পুকুর থেকে শিশু মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।পরে রাত ৩টার দিকে তাদের ডাক-চিৎকারের শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

সকালে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন ও তদন্ত (ওসি) আরমান হোসেনসহ পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির বাবা ও মাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ এর আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটে নেয়। এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে আমরা কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি। তারা এর সুষ্ঠু বিচার চায়। তাদের ধারনা ডাকাত বাহিরের কেউ না। এসব এলাকার মধ্যে আছে তাদের কে আইনী আওতায় আনার দাবি জানান।

৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেন। চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন তার প্রতিনিধি দিয়ে খবর নিলেন মঞ্জুর পরিবারের এবং সে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন আমাদেরকে।

দৈনিক আগমনী কে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ঘটনাটির শুনে আমরা ওই বাড়িতে যাই। আমরা শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও