ঠাকুরগাঁওয়ে ৪৬৫ টি পূজা মন্ডবে পূজা প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ কদিন পরেই শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত শিল্পীরা। আর কদিন পড়েই ঢাকের বাজনা আরতি উলু ধ্বনিতে মুখরিত হবে ঠাকুরগাঁওয়ের পূজা মন্ডব গুলো। সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঘিরে মন্ডবে মন্ডবে চলছে প্রস্তুতি। চার দিকে যেন উৎসবের আমেজ। পূজা ঘিরে চলছে প্রতিমা ও মন্ডব তৈরীর কাজ। ঠাকুরগাঁওয়ে এবার ৪৬৫ টি পূজা মন্ডবে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তাই শেষ মুহুর্তে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কারিগররা। তবে প্রতিমা তৈরীতে আয় কম, তার পড়েও বংশ পরমপরায় এই পেশাকে ধরে রেখেছেন শিল্পীরা।
প্রতিমা শিল্পী নগেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার একটু বেশী প্রতিমা তৈরী হচ্ছে। তবে করোনায় তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকারের সহযোগিতা কমানা করেন তারা। অপর দিকে জিতেন বলেন শেষ মুহুর্তে তারা ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রতিমা ডেলিভারী দিতে দিন রাত কাজ করতে হচ্ছে তাদের । তিনি জানান যে তুলনায় পরিশ্রম হয় সে অনুযায়ী পারিশ্রমিক পান না তারা । পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে দূর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, আনসার সদস্যের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবে র্যাবও। কাজ করবে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম।অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবার উপস্থিতিতে সোহার্দপূর্ণ পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজা পালন করবে বলে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ। তবে কতটুকু মানুষ মানবে সে নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে তাদের।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কোথাও যেন কোন নাশকতা কর্মকান্ড করতে না পাড়ে এ জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। ধর্মের নামে ধর্মীয় কু-সংস্কৃতি সেগুলো যেন না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের কর্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
গত ৬ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা । শান্তি পূর্ণ পরিবেশে উৎসবের আমেজেই এই পূজা শেষ হবে এমন প্রত্যাশা ঠাকুরগাঁও বাসীর ।