বালিয়াডাঙ্গীতে চুরির আতঙ্কে দিশেহারা মানুষ,রাতজেগে পাহারা

অক্টোবর ১০ ২০২১, ২১:৫২

Spread the love

মোঃ সোহেল রানাঃ বালিয়াডাঙ্গী প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় দিন-রাতে চুরির ঘটনা ঘটছে। খাবারের সাথে ওষুধ মিশিয়ে ও ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে বাড়ীর লোকজনকে অচেতন করে এসব চুরি সংঘটিত করছে চোরের একটি সক্রিয় সংঘবদ্ধ দল। এতে চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো উপজেলাজুড়ে। চোরদের হাত থেকে রক্ষা পেতে লাঠি-সোটা নিয়ে রাত জেগে পাহাড়া বসিয়েছে এলাকাবাসী।

তবে স্থানীয় থানা পুলিশ বলছে চুরির ঘটনা ঠেকাতে তারা তৎপর রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সব চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে।
গত কয়েকদিনে উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের চার কিলোমিটারের মধ্যে ৩টি গ্রামে ৩ জনের বাড়ীতে চুরি হয়েছে। এদের মধ্যে সৌলাপুকুর গ্রামের গয়া প্রসাদের বাড়ীতে ঘুমের ওষুধ স্প্রে ছিটিয়ে ৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ লাখ টাকা, পানিশাল গ্রামের নাজমুল হকের বাড়ীতে ৩ লক্ষ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণ এবং লোহাগাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অতুল প্রসাদ সিংহের বাড়ী থেকে মোবাইল ও আসবাবপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদহ মহাসড়কের পাশে সমিরউদ্দিন স্মৃতি কলেজের বিপরীতে স্কুল শিক্ষক আসাদ আলীর বাড়ীতে দুপুরে চোরেরা ৪ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে গেছে।

পরের দিন দুওসুও ইউনিয়নের হাসান মেম্বারপাড়া এলাকার রাজু হোসেন ও তার চাচার বাড়ীর লোকজনকে অচেতন করে ৩ লক্ষাধিক নগদ টাকা চুরি হয়েছে।
স্কুল শিক্ষক আসাদ আলী জানান, চুরির ঘটনা পুলিশকে জানানোর পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এরপর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি থানায়। এ পর্যন্ত শেষ। কোন ফল পায়নি।

পাড়িয়া গ্রামের নাজমুল হক জানান, বাড়ীতে চুরির পর থানায় লিখিত ভাবে জানানোর পরও ২৪ ঘন্টা পর পুলিশ আমার বাড়ীতে এসেছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে। এদিকে রাতে পাশের গ্রামে একইভাবে চুরি হয়েছে। পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছি।

সৌলাপুকুর গ্রামে রাত জেগে পাহাড়া দেওয়া যুবকরা জানান, চুরির ঘটনা ঠেকাতে সময় ভাগ করে নিয়ে আমরা ১৫ জন যুবক পাহাড়া দিচ্ছি। চুরি বন্ধ এবং পুলিশ ৩টি চুরির রহস্য উন্মোচন না করা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

পাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী রুবেল জানান, চুরির ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ঘটনাগুলো তদন্ত করে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোরদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

শনিবার রাতে পাড়িয়া ইউনিয়নে সংঘটিত দুটি চুরির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল হক প্রধান, উপপরিদর্শক আব্দুস সোবহান।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল হক প্রধান বলেন, ঘটনাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের সকলের ঘুম ঘুম ভাব আসলে স্থানীয় চেয়ারম্যান অথবা থানায় অবগত করবেন। প্রয়োজনে আমরা পোশাক ছাড়া আপনাদের বাড়ীতে এসে অবস্থান নিবো। চোরদের ধরতে স্থানীয়দের সহযোগিতা চান তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও