বালিয়াডাঙ্গীতে যৌতুকের দাবীতে স্বামীর নির্যাতনের ঘটনায়  আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী

আগস্ট ০৪ ২০২২, ১২:১২

Spread the love

নুর আলম প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে যৌতুকের দাবীতে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে নাসরিন বেগম (২২) গুরুতর আহতের ঘটনায় স্ত্রী আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মহিষমারী গ্রামের নাসিরুল ইসলামের মেয়ে নাসরিন বেগমের সাথে একই উপজেলার দুওসুও গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে সাদ হোসেন (২৪)এর সাথে গত ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়।

দাম্পত্য জীবনে নাসরিন বেগমের একটি পুত্র সন্তানের জননী হয়। বিয়ের পর হতে তার স্বামী সাদ হোসেন বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় সময় যৌতুকের দাবীতে সে তার স্ত্রীর সাথে অসদাচারণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। কিন্তু সন্তানের দিকে চেয়ে সে স্বামী কর্তৃক নির্যাতন নিরবে সহ্য করে আসতে থাকে। গৃহবধু নাসরিন বেগম ঠাকুরগাঁও সরকারী মহিলা কলেজে থেকে অনার্স বাংলা বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাবার বাড়ীতে ২৪দিন অবস্থান করার পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকাল ১০ টায় সে তার স্বামীর বাড়ীতে গেলে এসময় তার স্বামী সাদ হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন মিলে আবারো এক লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে নাসরিন বেগমকে এলোপাথারীভাবে মারপিটসহ হত্যার চেষ্টা করে।

পরে তার স্বামী সাদ হোসেন উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। যৌতুক লোভী স্বামী সাদ হোসেন ও তার পরিবারের অমানবিক জুলুম নির্যাতনের দরুণ গৃহবধু নাসরিন বেগম কাতর হয়ে মাটিতে পরে থাকে। এরই মাঝে তার বাবা নাসিরুল ইসলাম সংবাদ পেয়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে তার জামাতা সাদের বাড়ীতে ছুটে গিয়ে সে তার মেয়ে নাসরিন বেগমের শারীরিক অবস্থা আশংঙ্কা জনক দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করেন।

এঘটনায় নাসরিন বেগমের বাবা নাসিরুল ইসলাম জামাতা সাদ হোসেন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিলে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে আপোষ মীমাংসা করিয়া লইবে মর্মে সময় ক্ষেপন করে আসলে পরবর্তীতে আপোষ মীমাংসা না হওয়ায় গত ২৬ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ঠাকুরগাঁও আদালতে নাসরিন বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী সাদ হোসেন সহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, কোর্টের কাগজ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও