কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই রূপগঞ্জে দু’টি বসতভিটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

জুন ১০ ২০২৩, ১৯:০২

Spread the love

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি :আদালতের কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দুইটি বসতভিটা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার দিঘীবরাব এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দুই পরিবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী রেহেনা বেগম ও সাফিয়া বেগম জানান, তাদের সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ভোগদখল ছিল প্রায় দশ বছর যাবৎ। জমির খাজনা খারিজসহ সব কিছুই তাদের পক্ষে ছিল। এই জমি ক্রয় করেন হাবিবউল্লাহ নামের এক জমির দালালের মাধ্যমে। কিছুদিন পূর্বে ওই হাবিবউল্লাহই তাদের জমির মালিকানার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালতে হাজির হয়ে সকল কাগজপত্র হুবহু ফটোকপি জমা দেন। মামলা চলাকালীন অবস্থায় কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে ২০/৩০ জন পুলিশ সদস্য একজন সার্ভয়ারসহ এসে বসতঘরে মালামালসহ দেয়াল টিনের চাল ভেঙে ঘুরিয়ে দিয়ে যায়। এসময় তাদের কাছে রায়ের কপি দেখতে চাইলে উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে আটকানো হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

তারা আরো বলেন, শেষ বয়সে অর্জন করা বসতভিটা এভাবে ভেঙে দেওয়ায় আমরা এখন পথে পথে ঘুরা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তবে হাবিবউল্লাহরা যদি পেয়েই থাকে তাহলে আমাদের সাথে সমঝোতা করতে পারত। তা না করে সে আমাদের মালামালসহ বসতঘর ভেঙে দিয়েছে। আমরা এখন পথের ফকির হয়ে গেছি। এ ব্যাপারে আমরা রূপগঞ্জ থানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের ভাঙা বসতঘর পরিদর্শন করে গেছেন। রবিবার আমরা আদালতের দারস্থ হব। আমরা এর সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাব।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের হাবিবউল্লাহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , আদালত তার নিয়মমাফিক উচ্ছাদ অভিমানের কাজ করেছে । তাদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ ও দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোন কাজ হয়নি ।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জর্জ আদালতে প্রসেস সার্ভেয়ার শাহিন দেওয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাবিবউল্লাহ সাহেবের পক্ষে আদালত রায় দিয়েছেন এবং জমি বসতভিটা উচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছেন। সেজন্যই তাদের বসতঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নোটিশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলা হয়েছে তাদের জমির মূল মালিকের সাথে উনার নাম অজুফা বেগম। তিনি এই মামলার মুভ করেছেন তার কাছেই নোটিশ গিয়েছে। তারপর আমরা বলে এসেছি তাদের কোন দাবি থাকলে আদালতে এসে বলার জন্য।

রূপগঞ্জ থানার ওসি/তদন্ত আতাউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় এসে জানান। পরক্ষণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আদালতের রায় থাকলে আমাদের কিছু করার নেই ।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও