ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেট সহ বড় বড় বিপনী বিতান  

এপ্রিল ০৪ ২০২৪, ০৯:২৩

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন,রূপগঞ্জ : প্রাচীনকাল থেকেই উৎসবে মাতে বাঙ্গালি। উৎসব মানেই আনন্দ। আর এ আনন্দকে বাড়িয়ে তুলে বাহারি রঙের পোশাক। সামনেই ব্গাালির সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতর ও প্রহেলা বৈশাখ। এ উৎসব আয়োজনে কোনো কমতি নেই বালাদেশেরে প্রতিটি ঘরে ঘরে। মার্কেট হাট বাজারগুলো পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে। দেশের বৃহত্তর পাইকারি মার্কেট গাউছিয়া গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য প্রতিটি দোকান। সবাই পছন্দের পণ্য কিনতে ব্যস্ত।

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ কে সামনে রেখে জমে উঠেছে রূপগঞ্জে ঈদ বাজার ।মূলত এই দুই উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বৃহত্তম পাইকারি কাপড়ের মার্কেট ভুলতা গাউছিয়া সহ আশেপাশের মার্কেটগুলো । চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাবনা রয়েছে সেই সাথে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হবে সারাদেশে।
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে শপিংমল ও মার্কেট গুলো। এরই মধ্যে বেচাকেনায় জমে উঠেছে ভুলতা গাউছিয়া, কাঞ্চন বাজার, তারাবো বাজার,মুড়াপাড়া বাজারের শপিংমল গুলোতে। সকালে তেমন ক্রেতা উপস্থিতি না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

রূপগঞ্জ উপজেলার গাউসিয়া মার্কেটসহ বড় বড় বিপনী বিতান গুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। গাউছিয়া মার্কেটে রয়েছে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভীড়। ধনী, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার গুলো নিজেদের সাধ্যমত কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রান কেন্দ্র ভুলতাস্থ্য গাউছিয়া মার্কেট, হক সুপার মার্কেট, তাত বাজার মার্কেট, রেদোয়ান টাওয়ার মার্কেট, আউয়াল মার্কেটে বেচাকেনা চলছে ধুমছে। ছোট বড় সকলের পছন্দ মত কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা এলাকা থেকে আগত ক্রেতারা গাউছিয়া মার্কেট থেকে পাইকারী দরে ক্রয় করছেন যাকাতের শাড়ী, লুঙ্গী। এখানে চাহিদা মোতাবেক শাড়ী লুঙ্গী থাকায় এবং পাইকারী দরে পাওয়ায় ক্রেতারা ঝুকছেন এ মার্কেটে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ বেচাকেনা। দোকানীরাও ক্রেতাদের পছন্দ ও চাহিদামত শাড়ী, লুঙ্গী দোকানে উঠিয়েছে। ক্রেতাদের জন্য রয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যাবস্থা। এছাড়াও পুরুষ ব্যাবসায়ীদের পাশাপাশি মহিলা কাপড় ব্যাবসায়ীরা হাজার হাজার পিছ শাড়ী, লুঙ্গীসহ কাপড় পাইকারী দরে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলা এলাকায় খুচরা বিক্রি করছে। চেষ্টা করছেন তাদের সাধ্যমত কেনাকাটার।

পছন্দের পোষাকটি বেচে নিতে পুরো মার্কেট চষে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা। প্রতিযোগীতা দিয়ে দোকানিরাও নিত্যনতুন ডিজাইনের পোষাক ও ঈদ সামগ্রী তুলেছেন। জুতার দোকান গুলোতেও ভীড়ের কমতি নেই। সাইজ ও পছন্দের জুতা বেছে নিতে ক্রেতারা চষে বেড়াচ্ছেন দোকান গুলোতে। অন্যদিকে ফুটপাত গুলো ব্যস্ত নিম্নবিত্তদের কেনাকাটার ভিড়ে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফুটপাত গুলোতেও চলছে ধুমচে বেচাকেনা। ক্রেতাদের দাবি ফুটপাত থাকাতে তারা সুবিধামত ঈদ পোষাক ক্রয় করতে পারছেন। ভীড় রয়েছে ইলেকট্রনিক্স দোকান গুলোতেও।

ঈদকে সামনে রেখে টিভি, ফ্রীজসহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ক্রয় করছেন ক্রেতারা। অন্য দিকে ভীড় পড়েছে কসমেটিকস দোকান গুলোতে। তরুনী ও যুবতীরা নিজেদের সাজাতে ক্রয় করছেন বিভিন্ন রকমের কসমেটিকস সামগ্রী। এদিকে গার্মেন্টসসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের বেতন ভাতা না দেয়ার কারনে তারা এখনও ঈদ পন্য ক্রয় করতে পারেনি। কুমিল্লার খুচরা মহিলা কাপড় ব্যাবসায়ী হাজেরা খাতুন বলেন, ভাই গাউছিয়া মার্কেটে মোকাম করতে আইতাম প্রতি মঙ্গলবারে। ঈদে বেছাকিনা ভালা বইলা আজও মোকাম করতাছি।
লিপি বেনারশি শাড়ী বিতানের মালিক দুলাল মিয়া জানান, শাড়ীর দোকানে বেচাকেনা ভাল। তবে যাকাতের শাড়ী ও লুঙ্গীর চাহিদা বেশী। ফ্যাশন টাচের মালিক মোক্তার হোসেন জানান, ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পোষাকের চাহিদা বেশি রয়েছে। তবে ক্রেতারা নতুন নতুন ডিজাইনের উপড় ঝুকছে। তবে বেচাকেনা ভাল আছে। তিনি আরো বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা বেতন পায়নি। পেলে বেচাকেনা আরো বেড়ে যাবে।

জুতা ব্যাবসায়ী রফিক জানান, জুতার বেচাকেনা আছে মোটামোটি। তবে পুরোধমে বেচাকেনা শুরু হবে দুয়েক দিন পর থেকে। গাউছিয়া কর্পোরেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপু বলেন, মার্কেটে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যাবস্থা রয়েছে। ক্রেতারা নিরাপদে ঈদ পণ্য ক্রয় করছেন। এছাড়া উপজেলার তারাব, রূপসী, মুড়াপাড়া, কাঞ্চন, ভোলাব, হাটাব, বেলদীসহ ছোট ছোট হাটবাজারের দোকান গুলোতেও চলছে বেচাকেনা। এ বেচাকেনা চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।###

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও