অভিযোগে নানা অসংগতি নুসরাতকে তলব পিবিআইর
তদন্তসংশ্লিষ্ট তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমরা সবকিছুই খতিয়ে দেখব। ’ জানা গেছে, নুসরাত প্রথম অভিযোগ করেছিলেন গুলশান থানায়।
২. মুনিয়া যখন নুসরাতকে টেলিফোন করেন এবং নুসরাত যখন কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন তখন তাদের টেলিআলাপে একবারও মুনিয়া মৃত্যুর আশঙ্কা করেননি বা তাকে হত্যা করা হতে পারে এ রকম আশঙ্কা করেননি। বরং মুনিয়া কিছুদিন নির্বিঘ্নে ঢাকার বাইরে ঘুরে আসতে চেয়েছিলেন। ৩. মৃত্যুর আগে ব্যক্তির যেসব কথাবার্তা তাকে বলা হয় তার লাস্ট স্টেটমেন্ট বা শেষ বক্তব্য। সেই শেষ বক্তব্যের কোথাও মুনিয়া নিজেকে ধর্ষিতা বলে দাবি করেননি। এ তিনটি অসংগতির বিষয় তদন্ত কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।
পিবিআই-সূত্র বলছেন, ৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মামলা দায়েরের পর আদালত তদন্তভার পিবিআইকে দেয়। এর তিন দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ একটি দল কুমিল্লায় গিয়ে বাদীর সঙ্গে কথা বলেন। তবে পরে ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হলে বাদীকে তলবের সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র বলছেন, মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে পিবিআই অনেক দূর এগিয়ে গেছে। গুলশানের যে ফ্ল্যাটে ২৮ এপ্রিল মুনিয়া মারা যান, তারা সেই ফ্ল্যাটের ভিডিও সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েছেন। মুনিয়ার ডায়েরি ও অন্যান্য কাগজপত্র এবং মুনিয়ার ফোনের কল রেকর্ড জব্দ করেছেন।