বাঁচানো গেল না কবরে ‘জেগে’ ওঠা শিশুটিকে

এপ্রিল ২৪ ২০১৮, ১৩:০৪

Spread the love
ঢাকা: বাঁচানো গেল না ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘মৃত’ ঘোষণার পর কবরস্থানে ‘জেগে’ ওঠা শিশুকে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বিষয়টি  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল হাকিম জানান, শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিউতে (হৃদরোগের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে) লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে শিশুটি।

শিশুটির খালু শফিকুল ইসলাম  জানান, শিশুর মারা যাওয়ার বিষয়টি রাতেই পরিবারকে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তারপর মরদেহ নিয়ে ধামরাই গ্রামের বাড়িতে যাবেন, সেখানেই শিশুটিকে দাফন করা হবে।

এর আগে সোমবার ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বাচ্চাটি সাত মাসে প্রিম্যাচিউর অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছে। প্রিম্যাচিউর বাচ্চাদের অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বোঝা যায় না। বাচ্চাটিকে প্রথমে (সোমবার) যখন আমাদের এখানে আনা হয়, তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিমাণ ছিলো ১০-১২।

ওই দিন সকালে ঢামেক হাসপাতালে শিশুটির জন্ম দেন শারমিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ। তার স্বামীর নাম মিনহাজ উদ্দিন। তাদের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের শ্রীরামপুরে। গত শনিবার (২১ এপ্রিল) শারমিনকে ঢামেকের ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।

শারমিনের ভাই শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৮টায় তার বোনের বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। এসময় ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি মৃত। তখন তার মরদেহ দাফনের জন্য আজিমপুর গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

আজিমপুর কবরস্থানের মহরার হাফিজুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে দাফনের আগে গোসলের জন্য নেন ড্রেসার জেসমিন। এসময় গায়ে পানি ঢালা হলে শিশুটি নড়েচড়ে ওঠে এবং শ্বাস নিতে থাকে। তখন স্বজনরা নবজাতকটিকে আজিমপুর ম্যাটার্নিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও