নিরপেক্ষ সরকারসহ ইসলামী আন্দোলনের ১০ দফা দাবি

অক্টোবর ০৫ ২০১৮, ২০:৫৮

Spread the love

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে দলটি।

মহাসমাবেশ এ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

১০ দফা দাবি হচ্ছে-

১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

২. সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।

৩. বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

8. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।

৫. নির্বাচনে সব দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সব সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

৬. দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

৭. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।

৮. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

৯. কোটা সংস্কার অন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গ্রেফতার ছাত্রদের মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

১০. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

এদিন জুমার নামাজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জনসভা।

মহাসমাবেশ ঘিরে আগে থেকেই উদ্যানে সমবেত হয় নেতাকর্মীরা। পরে উদ্যানে নামাজের অনুমতি না পেয়ে তারা উদ্যান ছেড়ে বেরিয়ে যান।

তবে স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্যানের ভেতরেই নামাজ আদায় করেন। দুপুর ১টার দিকে উদ্যানের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের নামাজে দাঁড়ানোর জন্য মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। মূল মঞ্চের সামনে নামাজ পড়তে আহ্বান জানানো হয়।

পরে নামাজ শেষে আবারও উদ্যানে এসে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা।উৎস-যুগান্তর

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও