করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের মধ্যেই ঈদ শপিং ও বাড়ী ফেরা মানুষের ঢল

মে ০৮ ২০২১, ২১:৪৪

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইইডিসিআর আলাদাভাবে পরীক্ষা করেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে  আক্রান্ত ১জন রোগী ৪ শতাধিক লোকের সংক্রমন ঘটাতে পারে এবং তাদের দ্বারা এ সংক্রমন জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে পড়ে।এরকম সময়ে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেেই করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে ঈদ শপিং এবং বাড়ী ফেরায় ব্যস্ত মানুষজন। মাস্ক পরলেও কেউ কেউ রেখেছেন থুতনিতে।অন্যদিকে ফেরি ঘাটে ভিড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে ফেরিতে উঠার প্রতিযোগিতা শুরু করে এবং তিল ধারনের ঠাই থাকেনা।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের সব শপিংমল, মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ক্রেতাদের মার্কেট ও বিপণিবিতানে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের জন্য পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে প্রখর রোদ ও করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে রাজধানীসহ দেশের মার্কেটগুলোতে।মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

শুধু মার্কেটই নয়, ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজও রাজধানীর সব সড়কে মানুষের ভিড়।ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা ও বাসে যানজট লেগে যাচ্ছে প্রতিটি সড়কে।বিশেষ করে নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি ও গাউছিয়া মার্কেট এলাকাগুলো মানুষের প্রচণ্ড ভিড়।

শুক্রবার (৭ মে) রাজধানীর গাউছিয়া সুপার মার্কেট, চাঁদনী চক শপিং কমপ্লেক্স, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, নূর ম্যানশন, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটজুড়েই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

ক্রেতাদের ভিড় আর ফুটপাতের বিক্রেতাদের হাঁকডাক এবং রাস্তায় মানুষ আর নানা যানবাহনে একাকার পুরো ঢাকা শহর। ফুটপাত তো বটেই, ফুটওভার ব্রিজেও ভিড় জমে যায়। ক্রেতাদের এমন উপচে পড়া উপস্থিতিতে অনেক খুশি বিক্রেতারা।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে গত ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয় সরকার।সে সময় গণপরিবহণ চালু না থাকলেও সিএনজি কিংবা রিকশায় বেশি ভাড়া দিয়ে কেনাকানায় যাওয়া শুরু করেন ক্রেতারা।অধিকাংশ মানুষকেই সিএনজিতে বোঝাই হয়ে কেনাকাটায় যেতে দেখা গেছে।তবে শ্রমিকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে গত ৬ মে থেকে গণপরিবহণও চালু করে দেওয়া হয়।

বিক্রেতারা বলছেন, এতদিন ক্রেতাদের খুবএকটা চাপ না থাকলেও দুইদিন ধরে গণপরিবহণ চালুর পর বিক্রি বেড়েছে। আজও (শুক্রবার) ক্রেতাদের চাপে দম ফেলার ফুরসুরত নেই তাদের।

নিউমার্কেটের অনেক বিক্রেতা বলেন, আগেও অনেক ক্রেতার ভিড় ছিল।বিক্রিও হয়েছে অনেক। তবে গণপরিবহণ চালু হওয়ায় ক্রেতা বাড়ার পাশাপাশি বিক্রিও বেড়েছে অনেক।অনেকে বাসার কাছে মার্কেট রেখে তুলনামূলক কম দামের আশায় নিউ মার্কেটে এসে কেনাকাটা করছেন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও