চট্টগ্রামের পাহাড় বাঁচাতে বিশিষ্ট জনেরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

জুন ১৩ ২০২১, ০৯:১৩

Spread the love

মো: রনি আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ পাহাড় রক্ষার দাবীতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়গুলো রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড় ও নদী রক্ষায় একমাত্র প্রধান প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন।পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পিপলস ভয়েস ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) যৌথ উদ্যোগে ২০০৭ ও ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসে নিহতদের স্মরণে মোমবাতা প্রজ্বালন ও নাগরিক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানে হয়।

২০০৭ সালের ১১ জুন পাহাড় ধসে চট্টগ্রামে ১২৭ জন নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর এ দিককে ‘পাহাড় রক্ষা দিবস ঘোষণারর দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।সমাবেশে ইঞ্ছিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, পাহাড় রক্ষার জন্য ২০০৭ সালের পর একটি করা হয়।১৪ বছরে ২১ টি সভা করেছে তারা। পর্বতসম কমিটি মিটিং করার পর মূষিত প্রসব করে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে। এরা তো এমনি এমনি পাদদেশে যায়নি।কেউ না কেউ এসব বসতি তৈরি করে।অসহায় মানুষদের টার্গেট করে।তারা বাধ্য হয়ে যেখানে যায়। আর যখন বৃষ্টি হয় তখন তাকে উচ্ছেদ করতে যায় প্রশাসন। যে ঘরে শিশু আছে তরুনী আছে অসুস্হ একজন আছে তারা কোন ভরসায় বাসস্হান ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে?

যারা এসব বাসস্হান তৈরি করে তারা কী একেবারেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে? ব্যক্তি মালিকানার পাহাড়ের দায় ব্যক্তির। কিন্তুু সরকারি প্রতিষ্টানের পাহাড়ের দখলের দায় তো তাদের।শ্রমজীবী কি স্বল্প ভাড়ায় সেফটি নেটের মাধ্যমে নিরাপদ আবাসন দিতে পারি না? বায়োজিদ লিংক রোড়ে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বালির পাহাড় কীভাবে কাটলেন? এই হলো আমাদের আমলারা তারা মানুষের পক্ষের আচারণ করেনা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ১১ জুনকে পাহাড় রক্ষা দিবস ঘোষণা করুক। অধ্যাপক মো: ইদ্রিস আলী বলেন, পাহাড় ধসে নিহতদের স্মরন করি গভীর সমবেদনায়। আজো আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্যের সমাজ প্রতিষ্টায় প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে পারিনি। পাহাড় অপরাজনীতি অপেশাদার আমলাগিরির শিকার।ধসের পর গঠিত কমিটি ২১ তম সভা করেছে।তাদের নির্লিপ্ততায় কার্যকর কোনো ব্যবস্হা নেওয়া হয়নি।২০০৭ সালে ১৩ টি স্হানে আর ২০১৭ সালে অনেক স্হানে ধস হয়।প্রকৃতি সতর্ক করতে চাইলেও আমরা তো হই না। এখানে পাহাড় শেষ করে বিন্না ঘাস লাগানো হয়।

রক্ষা কারীর ১৮ টি পাহাড় কেটে নির্বাক থাকেন।তারা এ পরিবেশের অংশ না। আমরা পরিবেশের অংশীদার আমলার মামলার দিয়ে নদী রক্ষা পাহাড় রক্ষা হবেনা।প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে আপনাকে চট্টগ্রামের পাহাড় নদী দেখতে যাবেনা। আপনি দ্রুত পদক্ষেপ নিন।সভাপতি শরীফ চৌহান বলেন, যারা পাহাড় রক্ষা কমিটি করেছিল। কারো বিরুদ্ধে আজো ব্যবস্হা নেওয়া হয়নি। পাহাড়ের বসতিতে নাগরিক সুবিধা পানি, গ্যাস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয় নি।এদিকে সব সুবিধা রাখবেন অন্যদিকে পাহাড় রক্ষার কথা বলবেন তা হয় না। যে হারে পাহাড় কাটা হচ্ছে এক দশক পর কোনো পাহাড় থাকবেনা। পাহাড়বিহীন চট্টগ্রাম হবে।পাহাগ সমুন্দ্র নদীর যে নান্দনিক চট্টগ্রাম তা থাকবেনা। জনমত পাহাড় রক্ষার পক্ষে, চট্টগ্রামের মানুষ বাধ্য হলে যে কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।চট্টগ্রাম তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু তহবিলেল কোটি টাকা খরচ হয় পাহাড় রক্ষায় একটি টাকা খরচ হয়না।

প্রমা আবৃত্তি সংগঠণের সভাপ্রতি রাশেদ হাসান বলেন, সমাজ যেভাবে এগুলো বড় স্হাপনা দেখছি তেমন ধনঅ গরীবের বৈষম্য লাগামহীন বেড়েই চলছে। পাহাড়ধস শুধুই কি প্রাকৃতিক নাকি অন্য কোনো কারণ আছে? কারণ বন্ধ করা না গেলে এভাবে প্রতিবার আন্দোলনে পথে দাঁড়াতে থাকব। একটা গোণ্ঠী লাগামহীন অর্থ আয়ের জন্য পরিবেশ ধ্বংস করছে। কদিন পরই বর্ষা। যদি পাহাড় ধসে কোনো ক্ষতি হয় তার দায় কী প্রশাসন বা সরকার নিবে? হয়তো পত্রিকায় সংবাদ হবে। কিন্তুু যারা জীবন দিল তারা স্বার্থান্বেষী মানুষের লোভের বলি হয়ে গেল। দৃষ্টান্তমূলক শাস্ত্রির ব্যবস্তা করতে হবে।সাংবাদিক প্রীতম দাশ বলেন, ১০ বছরে পরিবেশ আন্দোলতে কয়টি মামলার বিচার শেষ হয়েছে? সেই আদালতে বিচারক থাকে না। পাহাড়কাটা চলছে বছর জুড়ে শুধু দিবস আর বর্ষা এলে প্রশাসন সক্রিয় হয়।

এভাবে হবেনা। পিপলস ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেন যুব মৈত্রীর খোকন মিয়া, নারী প্রগতি সংঘের এডমিন শৈবাল পারিয়াল,কারিতাস, চট্টগ্রামের প্যানেল মজুমদার,ইকোর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এসএম আবু ইউসুফ সোহেল,সাংবাদিক মিন্টু চৌধুরঅ, স্বরুপ ভট্টোচার্য, শফিকুল ইসলাম সজীব,সংগঠক সুপায়ন বড়ুয়া, ডা: মো: মহসিন, শিমুল দত্ত,মতিউর রহমান, শাহ ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী তিতুমীর শাহ বান্না, নারী প্রগতি সংঘের তপন কান্তি দে প্রমুখ, সংহতি জানায় পরিবেশ ছাত্র ফোরাম।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও