বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করছে। ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতা রক্ষাই এ দলের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ শাসকশ্রেণি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। বাসদ সম্পাদক আরও বলেন, দেশে বর্তমানে যে ব্যবস্থা চলমান আছে সে ব্যবস্থা দিয়ে একটা সত্যিকার গণতান্ত্রিক শাসন সম্ভব নয়। এর আইন কানুন, বিধিবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কৃতি যা আছে তা নিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুশাসন, গণতান্ত্রিক শাসন, আইনের শাসনও সম্ভব না। এ ব্যবস্থা বদল করতে হবে। দেশে মৌলিক সংস্কার লাগবে। মৌলিক সংস্কার ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচনের পরিবেশ থাকবে কি না সেসব এখনো পরিষ্কার নয়। নির্বাচন হলে তা অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা, মানুষ ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়েও মানুষের মধ্যে সংশয় রয়েছে। তবে নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে বাম গণতান্ত্রিক জোট থেকেই  নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান তিনি। খালেকুজ্জামান বলেন, আট দলের সমম্বয়ে ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ থেকে জোটগতভাবে প্রার্থী দিতে ইতিমধ্যে তালিকাও ঠিক করেছি। এভাবেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছি। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য খালেকুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপরও মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি হয়নি। নির্বাচন উপলক্ষে অন্য জোটের ব্যাপারে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী এবং বিএনপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনো চিন্তা নেই আমাদের। আমাদের জোট নিয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে ভাবছি। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে খালেকুজ্জামান বলেন, সরকার এ দলকে নিষিদ্ধ করছে না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। জামায়াতের সঙ্গে বামপন্থিদের আকাশ-পাতাল আদর্শিক দূরত্ব রয়েছে। তাই নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।