জনগণের হাতে দেশের সত্যিকার মালিকানা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে ৭ দফা দাবি এবং তা বাস্তবায়নে ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংবিধান প্রনেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাকে কিছু না দিলেও স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পারি।
‘‘তাই ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না। কেউ যদি গুলি করতে চায়, তাহলে করুক। আমাদের কোটি কোটি জনগণ। কার কাছে কতো গুলি, কতো ট্যাংক আছে নিয়ে আসুক। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা ভয় পায় না।
কামাল হোসেন আরো বলেন: দেশের সকল মানুষের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে এই ঐক্যের ডাক। কোটি কোটি মানুষের পক্ষে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা ইতিহাসে দেখেছি ঐক্যের মধ্য দিয়ে বিজয় আসে।
‘‘আমরা ঝুঁকি নিয়ে আজকে এখানে বসেছি। কোনো সময় নষ্ট করা যাবে না। ঐক্য প্রক্রিয়াকে জেলায় জেলায় জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্য জনগণের ঐক্য। জাতি ঐক্যবদ্ধ হলে বিজয় আসে। ৬ দফা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তার দৃষ্টান্ত।’’
তিনি বলেন, ব স্বৈরাচারের বিরুদ্ধ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের লড়াই অবশ্যই চলবে। জাতীয় ঐক্য জনতার ঐক্য, এই ঐক্য কেউ ভাঙতে পারবে না। এটা কোনো দলীয় রাজনীতি না। এটি জনগণের পক্ষে, জনগণ যে দেশের মালিক, সে মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে দিতে আজ এই ঐক্য।
জনগণেরই শুধু সরকার গঠনের অধিকার আছে জানিয়ে ড. কামাল বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে তারাই সরকার গঠন করবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে তাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি ঐক্যফ্রন্টে। যারা দেশে লুটতরাজ করেছে তারা ঐক্যবদ্ধ জনগণকে দেখলে পালাবে। আমাদের কোনো কথা নেই। তারা চলে যাক। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন: সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, মানুষের ভোটাধিকারের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। দেশের মালিক জনগণ৷ কালো টাকার বিনিময়ে, সাম্প্রদায়িকতার বিনিময়ে, পেশীশক্তির বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদেরকে নয়, আমরা জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চাই৷ উৎসঃ চ্যানেল আই