রূপগঞ্জে দুই মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তি চরমে

মার্চ ২৯ ২০২৪, ১৫:৫০

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন , রূপগঞ্জঃ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান বাইপাস সড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীসাধারণ। আটকা পড়েছে যাত্রাবাহী ও মালবাহী বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান বাইপাস সড়কে এ যানজটের চিত্র দেখা গেছে। এদিকে, ঈদ যাত্রাতেও এ দুই মহাসড়কের ১৫ টি স্পটে যানজটের শঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি দেশের অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক। এ সড়কটি দিয়ে সিলেট, ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ সুনামগঞ্জ, গাজীপুর সহ বিভিন্ন জেলার প্রতিদিন শত শত দূরপাল্লার মালবাহী ট্রাক, বাস ও অন্যান্য গণপরিবহণ চলাচল করে। অবৈধ বাস স্ট্যান্ড, অবৈধ ফুটপাত চাঁদাবাজি, যত্রতত্র যাত্রী উঠানো নামানো, নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালকদের বিপরীত রুটে গাড়ি চলাচল, সড়ক প্রশস্থ্য কম হওয়া, সড়ক দুর্ঘটনা, সড়কে গাড়ি বিকল হওয়া যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন এলাকাবাসী। রূপসী বাস স্ট্যান্ড দিয়ে সিটি গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানীর ট্রাক রূপসী-কাঞ্চন সড়ক দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় এখানে পুলিশের সংখ্যা একেবারেই কম। অল্প কিছু পুলিশ সদস্য দিয়ে যানজট নিরসনের কাজ করানো হয়। এদিকে, রমজানের আগেই রূপসী, বরাবো, বরপা, ভুলতা, যাত্রামুড়া, বিশ^রোড, তারাবসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ঈদ যাত্রায় সাধারণ মানুষ এ স্পট গুলোতে যানযটের শিকার হতে পারেন।

অপরদিকে, এশিয়ান বাইপাস সড়কটি অন্যতম একটি ব্যস্ততম মহাসড়ক। মহাসড়কটি পূর্বাচল তিনশ ফুট সড়কের সঙ্গে গিয়ে মিশেছে। এ সড়কটি দিয় গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যানবাহন চলাচল করেন। এ মহাসড়কটিতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এ মহাসড়কে যানজটের অন্যতম কারণ কাঞ্চন টোল প্লাজায় টোল গ্রহণে ধীরগতি, এশিয়ান বাইপাস সড়কের চার লেনে উন্নীত করণ, অবৈধ বালু ও যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা। যানজটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা সাধারণ মানুষ বসে থাকতে হচ্ছে। এশিয়ান বাইপাস সড়ক দিয়ে কাভার্ডভ্যান সবচেয়ে বেশি চলাচল করে।

অভিভাবক মিফতা জানান, তার ছেলে আবিদ হাসান যাত্রামুড়া এখলাস উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে লেখা পড়া করেন। বেলা ২ টার দিকে তার মেয়েসহ শিক্ষার্থীরা স্কুল বাসে উঠেছেন হাটাবো নিজ নিজ বাড়িতে আসার জন্য। বিকেল সাড়ে ৫ টা বেজে গেলেও যানজটের কারণে তারা বাড়ি ফিরতে পারেনি। প্রায় সময় আবার তারা যানজটের কবলে পড়ে সকালের দিকে সঠিক সময় স্কুলে যেতে পারেনা। যাতে সব সময়ই যানজটমুক্ত থাকে সড়কটি সে ব্যপারে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

গাউছিয়া মার্কেটের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার গাউছিয়া কাপড়ের বাজারের পাইকারী হাট। এ হাটে এই দুই দিন হাজার হাজার ব্যবসায়ী আসে বেচা-কেনা করতে। সকাল থেকে যানজট থাকার কারনে মঙ্গলবার ক্রেতা ছিলো অনেকটা কম। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটে আটকা পড়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন এখানকার ক্রেতা-বিক্রেতারা।

কথা হয় ইমাদ নামে এক যাত্রীর সঙ্গে তিনি বলেন, চিটাগাংরোড থেকে আমার বাড়িতে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট তার ২ ঘন্টা ধরে যানজটে বসে আছি। যানজট কখন শেষ হবে আমি কখন বাড়ি ফিরবো জানা নেই।

কথা ট্রাক চালক রাসেলের সঙ্গে তিনি বলেন, ভাইজান ৩ ঘন্টা ধইরা জ্যামে বইয়া রইছি। অহনও এক কিলোমিটারও যাইতে পারি নাই। মাল লইয়া যাওন লাগবো গাজীপুর। এশিয়ান বাইপাস সড়কের সবসময়ই জ্যাম লাইগা থাহে।

এ ব্যাপারে ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন বলেন, যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সামনে ঈদ যাত্রা যাতে নির্বিঘœ হয় সে ব্যাপারে আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।####

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও