সাক্ষ্যপ্রমাণে যেন বুঝতে পারে অপরাধীর অপরাধ প্রমাণিত: দুদক চেয়ারম্যান

নভেম্বর ২৬ ২০১৮, ২২:১৮

Spread the love

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দালিলিক প্রমাণাদি এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে অপরাধীরা বুঝতে পারে তাদের অপরাধ প্রমাণিত।

তিনি বলেন, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবে না দুদক। দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে মামলা-মোকদ্দমা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনেরও আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার দুর্নীতি দুদকের কার্যালয়ে কমিশনের সহকারি পরিচালক থেকে পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরে এক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের ক্যারিয়ার উচ্চশিক্ষাসহ কল্যাণমূলক সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে কমিশন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাদের সততা ও নৈতিকতার মানদণ্ড হতে হবে অনুকরণীয় এবং দৃষ্টান্তমূলক। কারণ আপনারা এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, যেটি সমাজে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টিতে আইনি ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকর্তাদের আচরণ, জ্ঞান, সক্ষমতা, বিবেচনাবোধ, নৈতিকতা, সমন্বয় সর্বোপরি মানুষের প্রতি অনুভূতি হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যখন ভালো কাজ করেন, আমার মনে হয় তখন আমার চেয়ে আর কেউ হয়তো বেশি খুশি হন না। আবার কেউ যখন অনৈতিক কাজ করেন তখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করি আমি।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। এই উদ্যোগের প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে দুদক। সমাজের প্রতিটি অংশকে এই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার দায়িত্বও কমিশনের। কমিশন ইতিমধ্যেই দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিসহ সিভিল সোসাইটির একটি বিরাট অংশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ এমন একটি চলমান প্রক্রিয়া-এর গতি যত বেরি ত্বরান্বিত হবে দুর্নীতি ততই কমে আসবে। এক্ষেত্রে জনআস্থার কোনো বিকল্প নেই। আর জনআস্থা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আপনাদের কর্মস্পৃহা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা অপরিহার্য।

অনুষ্ঠানে পরিচালক, উপপরিচালক এবং সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন।

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও