জনরোষের শিকার হলেন কুয়াকাটার হেলিকপ্টার হুজুর ওরফে মওলানা মো. হাফিজুর রহমান সিদ্দিক

নভেম্বর ৩০ ২০১৮, ১২:৪৫

Spread the love

  পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুয়াখাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় বাৎসরিক ইসলামী জালসার প্রধান বক্তা মওলানা হাফিজুর রহমান (কুয়াকাটা) হেলিকপ্টারে চড়ে জালসা করতে এসে চুক্তি অনুযায়ী ওয়াজ না করায় আয়োজক ও মুসল্লীদের জনরোষের শিকার হয়েছেন ।

জালসা কমিটি ও স্থানীয়রা জানান,  চুক্তি ছিল জালসার দিন বাদ জোহর থেকে বাদ আসর পর্যন্ত ওয়াজ করবেন।আড়াইটার সময় জালসা স্থলে গিয়ে ওয়াজ শুরু করেন। চল্লিশ মিনিট মোনাজাত সহ ওয়াজ করে তড়িঘড়ি করে বালুচর মাঠে এসে হেলিকপ্টারে চড়ার সময় জালসা কমিটি ও মুসল্লীরা  উত্তেজিত  হয়ে হেলিকপ্টারে চড়তে বাধা দেন, এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাকে ছাড়াই হেলিকপ্টার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে চলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে হাফিজুর রহমান সিদ্দিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জালসা কমিটি ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছোট গুড়াখাড়া-চিরইল-সাড়োরা-ইঁচাখালী সম্মিলিত হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ইসলামী জালসার দিন ছিল বৃহস্পতিবার। জালসার প্রধান বক্তা মওলানা মো. হাফিজুর রহমান সিদ্দিক (কুয়াকাটা) কে প্রায় এক বছর আগে ৫০ হাজার টাকা বায়না দেন। সেই সাথে হেলিকপ্টারে যাওয়ার জন্য ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী জালসা কমিটি হেলিকপ্টারের ভাড়া পরিশোধ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে পৌর শহরের বালুচর মাঠে নামেন প্রধান বক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক। এর আগে সকাল থেকেই এই হেলিকপ্টার হুজুর প্রধান বক্তার বক্তব্য শ্রবন করার জন্য দুর দুরান্ত থেকে জালসা স্থলে হাজির হতে থাকে।

এরপর  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং হাফিজুর রহমান সিদ্দিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর সন্ধ্যায় রাজশাহী থেকে ঢাকা গামী আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে তাকে তুলে দেয় থানা পুলিশ।

জালসা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বলেন,‘আমরা প্রতি বছর চার গ্রামের মানুষ মিলে বড় জালসার আয়োজন করে থাকি। চুক্তি অনুযায়ী তিনি (হাফিজুর রহমান সিদ্দিক) ওয়াজ না করে দ্রুত সময়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মুসল্লীরা বাধা দেয় এবং ক্ষিপ্ত হয়। তিনি (প্রধান বক্তা) আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। কোন বছরই কোন বক্তা এমন করেনি। তিনি আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন।’

প্রধানবক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগের জন্য তার একান্ত সহকারী (রফিক) মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ মো. নাসীর উদ্দিন বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি থেকে জনরোষের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে হাফিজুর রহমান সিদ্দিককে উদ্ধার করে চাটমোহর রেলষ্টেশন থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট কেটে তুলে দেয়া হয়েছে।’

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও