পিবিআইয়ের তদন্তে স্ত্রী (মিতু) হত্যায় ফেঁসে গেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

মে ১২ ২০২১, ১৫:৫৪

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যায় বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন আসামিদের। আদালতে দেওয়া দুই সাক্ষীর জবানবন্দি ও পিবিআইয়ের তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামী দের নাম যুক্ত করে নতুন মামলার প্রস্তুতি চলছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, স্ত্রী হত্যার তিন দিন পর বাবুল আক্তার তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন, তাঁর লাভের অংশ থেকে তাঁকে যেন তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সাইফুল বিকাশের মাধ্যমে ওই টাকা গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মিতু হত্যার মামলার ভিডিও ফুটেজে বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলা, কামরুল শিকদার ওরফে মুসা ছিলেন। কিন্তু ঘটনার পরপর তিনি দাবি করেছিলেন, জঙ্গিরা জড়িত। তাঁর সোর্সকে তিনি চিনলেও বিষয়টি চেপে যান। ভুলেও তিনি সাইফুল হকের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেননি।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বাবুলের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল ও মামুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দীনের আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। সেখানে দুজনই বাবুলের নির্দেশে স্ত্রী হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও