যারা জনগণের বিপক্ষে, তারা কোনদিন জনগণের সেবক হতে পারেন না: মফিজুর রহমান
রনি আনোয়ার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ‘যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেন, তারা কোনদিন জনগণের সেবক হতে পারেন না।’- গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম আয়োজিত সিআরবি রক্ষা আন্দোলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন বিশিষ্ট রাজনীতিক, সংস্কৃতি সংগঠক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সিআরবি রক্ষার আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের, বিভিন্ন কর্মকর্তার বক্তব্য আমাদের হতবাক করছে। আমরা যারা রাজনীতি করি, প্রত্যেক রাজনীতিকের একটা নিজস্ব স্বত্তা আছে। নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ইতিহাস ঐতিহ্য, শহীদের স্মৃতিকে উপেক্ষা করে যারা বক্তব্য দেয়, আমি মনে করি তারা প্রকারান্তরে জনবিচ্ছিন্ন এবং গণ দুশমনে পরিণত হবেন।
আমরা যখন গণজাগরণ মঞ্চ করেছিলাম, দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও এত স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন হয় নি। ঠিক তেমনি এই সিআরবির আন্দোলন হচ্ছে একটি স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন। যে আন্দোলনে শিশু কিশোর থেকে শুরু করে কৃষক শ্রমিক কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতি কর্মী সাংবাদিক- প্রত্যেক শ্রেণী পেশার মানুষ শরীক হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকৃতি বান্ধব, তিনি পরিবেশের উন্নয়ন চান। তাঁর কাছে তথ্য গোপণ করে এখানে লিজ নেওয়া হয়েছে। এটা যে হেরিটেজ জোন, এখানে যে শহীদের কবর আছে, তা তাঁর কাছে গোপণ করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি তিনি জনগণের পক্ষে রাজনীতি করেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি অবশ্যই এখানে হাসপাতাল করবেন না এবং এ প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করবেন। যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, আমি মনে করি তারা কোনদিন জনগণের সেবক হতে পারে না। আগামীতে এ ব্যাপারে আরও সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখবো। এতে কিছু যায় আসে না। আমরা জনগণের পালস বুঝি। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের বুকে ছোরা চালাতে আমরা দেবো না। সিআরবি আমাদের ফুসফুস। সিআরবি ধ্বংস করা মানে আমাদের বুকে ছুরি চালানো। আমাদের জীবন থাকতে সেটা আমরা করতে দেবো না।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, জেনিফার আলম, কবি মিনু মিত্র, খেলাঘর সংগঠক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, ন্যাপ নেতা মিঠুল দাশগুপ্ত, কবি ও সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন, কৃষক নেতা হুমায়ূন কবীর মাসুদ, সাবেক ছাত্র নেতা আহিল সিরাজ, ছাত্রলীগ নেতা আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক, তৌহিদুল করিম ইমন, আব্দুল্লাহ আল সাইমুন, আনোয়ার হোসেন পলাশ, মায়মুন উদ্দীন মামুন, সাজ্জাদ হোসেন জাফর প্রমুখ।
সংহতি প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, কবি অধ্যাপক হোসাইন কবির, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, সাবেক ছাত্র নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, কবি আবু মুসা চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী প্রনব চৌধুরী, এডভোকেট রাশেদুল আলম রাশেদ, মহিলা আওয়ামীলীগ সদস্য রাফি দাশ প্রমুখ।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, শিল্পী মনিরুল্লাহ কাদের, নারায়ণ দাশ, গিয়াস উদ্দিন টিটু প্রমুখ।