কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস কি “ঢাকার অসুখ ডাক্তার চাই” নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলেন ?

সেপ্টেম্বর ১৩ ২০২১, ১৯:১৩

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ এক নারীর শ্লীলতাহানির ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ সম্পর্কে রাজধানীর সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের দাবি, ‘ওই সময় নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলাম। নাটকের নাম “ঢাকার অসুখ ডাক্তার চাই”।’ নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মন্দিরের সম্পত্তি দখল নিয়ে তার শ্বশুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। সে কারণে এ মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে।।

শ্লীলতাহানির ঐ মামলায় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার চিত্তরঞ্জনকে জামিন দেন।

সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন চিত্তরঞ্জন দাস। দুপুরের দিকে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই নারী সবুজবাগ থানায় চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) মামলাটির এজাহার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসে। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের আদালত এজাহারটি গ্রহণ করেন। সবুজবাগ থানার এসআই (নিরস্ত্র) আসলাম আলীকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চিত্তরঞ্জনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরদিন দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরীব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।

পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

চিত্তরঞ্জন দাস তাকে পরের দিন আবার সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই নারী হ্যা বলে কোনো রকম নিজেকে রক্ষা করে ফিরে আসেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন।

তবে এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন দাসের দাবি, ‘ওই সময় নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলাম। নাটকের নাম “ঢাকার অসুখ ডাক্তার চাই”।’ নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মন্দিরের সম্পত্তি দখল নিয়ে তার শ্বশুরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। সে কারণে এ মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও