একশন এইড ও ধ্রুবতারা’র যৌথ উদ্যোগে অনুষ্টিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা

সেপ্টেম্বর ১৬ ২০২১, ১৬:৪৫

Spread the love

রনি আনোয়ার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সরকারের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাঠামোতে এবং উন্নয়নে যুব শক্তিকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে “ডায়লগ উইথ পলিসিমেকারস- রিপ্রেজেনটেশন অফ ইয়াং পিপল ইন ডিসিশন মেকিং স্ট্রাকচার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) একশনএইড বাংলাদেশ এবং ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডিওয়াইডিএফ) যৌথ আলোচনা সভার আয়োজনে সঞ্চালনা করেন ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী অর্ক।

আলোচনা সভায় অতিথি আলোচক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন- যুবদের নিয়ে কোন ডাটাবেজ নাই। তরুণদের কথাগুলোকে সুপারিশ হিসেবে সরকারের কাছে তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তরুণদের কথা তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দেন। তরুণ সমাজ এগিয়ে আসলে দেশ এগিয়ে যাবে, তাই তরুণদেরও অংশগ্রহণ করা জরুরী বলে মতামত দেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব( এনডিসি) মোঃ আব্দুল করিম বলেন- সরকার কর্তৃক ঘোষিত তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। যুব ও ক্রিয়া মন্ত্রানালয় থেকে তরুণদের ট্রেইনিং এর পাশাপাশি ঋণ দেয়া হচ্ছে, কিন্তু পর্যাপ্ত তরুণদের কাছে পৌঁছাতে পারছেনা। ট্রেইনিং গুলোতে এখনও সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি। তরুণদের ভিশনারি হতে হবে, চাকরীর পিছে ছোঁটা বন্ধ করতে হবে। তরুণদের ডাটাবেজ থাকতে হবে মনিটরিং এ আনতে হবে। যুবদের জন্য যুব ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মতামত রাখেন তিনি। এসময় তিনি যুব সংসদ প্রতিষ্ঠার আহবান জানান।

এসএমই ফাউন্ডেশনের আবু মঞ্জুর সাইফ, বলেন- তরুণদেরও ভাল প্রোজেক্ট থাকলে অর্থায়নও সহজ হবে। তরুণদের উদ্যোক্তা হতে হবে। চাকরি করার ভাবনা থেকে বেরিয়ে মেধা ও শিক্ষাকে উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ এম এম আকাশ বলেন- দাবি আদায়ে তরুণদের আরও সচেষ্ট হতে হবে। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পিছিয়ে পরাদেরও জন্য আলাদাভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। তরুণদেও দায়িত্বশীল হতে হবে, বিপথ, মাদক ও সন্ত্রাস থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) আব্দুল লতিফ মোল্লা, বলেন- তরুণদের জন্য ট্রেইনিং প্রোগ্রাম বাড়ানো হচ্ছে। তরুণরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে খুব অল্প খরচে এবং বিনা খরচে ট্রেনিং নিতে পারেন। আগামী দিনগুলোতে তরুণদেও জন্য আরও প্রোজেক্ট প্রয়োজন রয়ছে এবং মনিটরিং বাড়াতে হবে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন- ইয়ুথ পলিসির বাস্তবায়ন করতে হবে। তরুণদের কাজ গুলোকে স্বীকৃতি দিতে হবে। ভাল কাজকে সহযোগিতা করতে হবে, শুধু ট্রেইনিং দিলেই হবেনা ট্রেইনিং শেষে কাজ পেতে

একশনএইড বাংলাদেশের যুব প্রকল্প বিষয়ক ম্যানেজার নাজমুল আহসান বলেন- দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু যুবদের পলিসি ও ডিসিশন মেকিং এর ক্ষেত্র গুলতে অংশগ্রহণ হচ্ছেনা।

প্রান্তিক পর্যায়ের যুবদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে। প্রানতিক যুবদের কথা শুনতে হবে তাদের কথার মূল্যায়ন করতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তরুণ প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন এবং সেগুলো হলো-

১। যুব উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা।
২। বেকার যুবদের জন্য বেকার ভাতা প্রদান।
৩। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে (সম্ভব না হলে ভর্তুকি মূলে) কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা।
AI এর বিকাশ।
৪। শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ এবং অন্যান্য প্রান্তিক তরুণদের কর্মসংস্থানর ব্যবস্থা করা।
৫। যুবদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ করা।
৬। ঋণ প্রক্রিয়াকে সহজ করা, ঋণের শর্ত শিথিল করা ও যুব উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ প্রদান।
৭। কৃষি খাঁতে যুব উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।
৮। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য অর্থ বরাদ্দ।
৯। জাতীয় যুব কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা।
১০। যুব ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা।
১১। যুব বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নে “ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ সেন্টার” প্রতিষ্ঠা করা।
১২। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পৃথক করা।
১৩। যুব নীতি ২০১৭ বাস্তবায়ন করা।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও