চিরিরবন্দরে বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিস্কার নামাজে হাত তুলে কাঁদলেন মুসল্লিরা

এপ্রিল ২৬ ২০২৪, ১৪:২১

Spread the love

এনামুল মবিন(সবুজ),জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র গরমে বৃষ্টি প্রত্যাশা করে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ও রানীরবন্দর এতিমখানা ঈদগাহ ময়দানে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজের আয়োজন করেন স্থানীয় মুসল্লিরা। শিশু, যুবক, মধ্য বয়সী বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলনান ইস্তসকার নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে সবার আকুতিতে আমীন আমীন শব্দে চোখের পানি ফেলে ফেলে বৃষ্টির কামনায় ফরিয়াদ করেন।

নামাজ অংশ নেওয়া মুসল্লীরা বলেন, বৃষ্টির অভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ। তীব্র খরা ও প্রচণ্ড গরমে নাকাল হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণিকুল। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। এ দিকে উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এজন্য স্থানীয়রা বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেন।

রাসূল সা. তার জীবদ্দশায় বৃষ্টি প্রার্থনায় অনেকবার ইসতিসকার সালাত আদায় করেছেন। সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় এসেছে, আনাস ইবনু মালিক রা. থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি জুমার দিনে দারুল কাযার দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামলে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তা ঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। আনাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন।

আনাস রা. বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখেনি। আমাদের এবং সালা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে কোনো ঘরবাড়িও ছিল না। হঠাৎ পাহাড়ের পশ্চাৎ দিকে হতে তীরের ন্যায় এক খণ্ড মেঘ উদিত হল। যখন তা মধ্যাকাশে পৌঁছাল তখন তা ছড়িয়ে পড়ল। এরপর বর্ষণ শুরু হল। রাবী বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সূর্য দেখিনি।

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও