ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দেশের মধ্যাঞ্চল ঢাকা-টাঙ্গাইল থেকে ঘন্টায় ২০ কিমি বেগে উত্তর ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সিলেটের উপর দিয়ে আসাম ও মেঘালয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সারাদেশে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে

মে ০৪ ২০১৯, ১২:৩৫

Spread the love

ঘূর্ণিঝড় ফনি ভারতের উড়ষ্যায় আঘাত হানার পর পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দেশের মধ্যাঞ্চল ঢাকা-টাঙ্গাইল থেকে ঘন্টায় ২০ কিমি বেগে উত্তর ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সিলেটের উপর দিয়ে আসাম ও মেঘালয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।                ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় এক শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ১ জন ও নেত্রকোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে বরগুনা জেলার  চরদুয়ানি ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানি গ্রামে বাঁধঘাট এলাকায় ঘর-চাপায় দাদি নুরজাহান (৬০) ও নাতি জাহিদুর (৯) এর মৃত্যু হয়।ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ফনির আঘাতে জেলা সদরের দক্ষিণ দিঘলী ইউনিয়নে ঘরচাপায় নিহত হয়েছেন এক গৃহবধূ।নিহত রানু বেগম ৮ নং ওয়ার্ডের সামসুল হক ফরাজির স্ত্রী।পটুয়াখালীতে ১ জন মটর সাইকেল চালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ভারতের ওড়িশ্যার পর পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। ওড়িশ্যায় প্রবল বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতে এ পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফনির আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ওড়িশ্যা।

ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফনির কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও