হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে সরঞ্জাম ক্রয়ে দুর্নীতি:অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ানসহ ৮ জনকে দুদকে তলব
আগমনী ডেস্কঃহবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মেডিকেল সরঞ্জাম ক্রয়ে ১৩ কোটি ৮৭ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ানসহ ৮ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১০৬ হটলাইনে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বরাদ্দের বিপরীতে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়। সরবরাহ করা মালামালের মধ্যে ৬৭টি লেনেভো ল্যাপটপের (মডেল ১১০ কোর আই ফাইভ) প্রতিটির মূল্য দেখানো হয় এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। তবে একই মডেলের ল্যাপটপ বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪২ হাজার টাকায়। ক্রয় কমিটির সঙ্গে যোগসাজসে অন্যান্য সরন্জামেও অতিরিক্ত মূল্যে দেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ এবং পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
দুদকের নির্দেশনায় রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) টেন্ডার কমিটির বাজার দর যাচাই টিমের সদস্য ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. শাহীন ভূঁইয়া, ডা. প্রাণকৃষ্ণ ও ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামীকে এবং পরদিন সোমবার টেন্ডার কমিটির প্রধান ডা. আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব ও হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. নাসিমা খানম ইভা, সদস্য ডা. হালিমা ও ডা. কদ্দুছকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। ১০৬ হটলাইনে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে দুর্নীতির ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গত ৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক তদন্তে নামে দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। এরপর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শামসুল আলমকে প্রধান করে এর তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ওই তদন্ত টিমের প্রধান চিঠির মাধ্যমে টেন্ডার কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮ জনকে তলব করেছেন।