গণভবনে নিজ হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার (মনোনীত ব্যক্তিদের) তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
আগমনী ডেস্কঃ এক বছরেরও বেশি সময় পর গণভবনে নিজ হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার (মনোনীত ব্যক্তিদের হাতে) তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ার ইসলাম নাম ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্তদের ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকেই সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী। জনসমাগম এড়াতে বরাবরই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন সরকারপ্রধান। আর এজন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বারবার আক্ষেপ করতে শোনা গেছে তাকে।
অবশ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত মার্চে ১০ দিনের যে অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে কয়েকটি অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে অংশ নেন তিনি। কিন্তু সেগুলোও ছিল নিরাপত্তায় ঢাকা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চার জন মরণোত্তর। তারা হলেন- এ কে এম ফজলুর রহমান, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আহমেদ, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
অন্যরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মুন্ময় গুহ নিয়োগী, সাহিত্যে মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে আতাউর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সমাজ সেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।
এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অবদান রাখায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।
মরহুম বজলুর রহমানের পক্ষে তার স্ত্রী শাহানারা বেগম, আহসান উল্লাহ মাস্টারের পক্ষে তার ছেলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আহমেদের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর পক্ষে তার ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পুরস্কার নেন।
জীবিতদের মধ্যে কবি মহাদেব সাহার অনুপস্থিতিতে তার ছেলে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেন। ডক্টর মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, আতাউর রহমান গাজী, মাজহারুল আনোয়ার এবং ডক্টর আমজাদ হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কার নেন। কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক পুরস্কার গ্রহণ করেন।
গত ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৪ মার্চের অনুষ্ঠান স্থগিত করে ১১ এপ্রিল নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। একই কারণে ১১ এপ্রিলের অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়।