হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরি করল প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটির ৩ শিক্ষার্থী

মে ৩১ ২০২১, ১৪:১০

Spread the love

মো: রনি আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটির ইলেকট্টিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্টনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কমমূল্যের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরি করেছে। এ ক্যানোলা দিয়ে মিনিট ৫০-৭০ লিটার অক্সিজেন একজন করোনা রোগীকে দেওয়া সম্ভব। এ অক্সিজেনের ঘনত্ব ২০-৫০ শতাংশ। ইলেকট্টিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্টনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিকের তত্বাবধানে ক্যানোলটি তৈরি করেছেন বিভাগের শেষ বর্ষের ৩ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, জিতু দাশ ও নুরুল আজিজ।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বেলা ১ টা প্রিমিয়াম ইউনির্ভানিটির উপাচার্য কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও উপাচার্য প্রফেসর ড: অনুপম সেনকে ইলেকট্টিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্টনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৈরি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলটি প্রদর্শন করা হয়। তিনি বলেন, করোনা রোগীদের জীবন উচ্চমূল্যে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা বিদেশ থেকে আমদানি করছিল।এতে রোগীদের চিকিৎসা খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছিল। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কমমূল্যের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল।

প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটির ইলেকট্টিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্টনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি এ ধরনের ক্যানোলা তৈরি করে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় কাজ করেছে। তিনি ইলেকট্টিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্টনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কমমূল্যের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরির জন্য ধন্যবাত জানান, এ ক্যানোলা প্রজেক্টের তত্বাবধায়ক টুটল চন্দ্র মল্লাক বলেন, কমদানে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরি প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো অক্সিজেনেরর প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের ঘনত্ব, আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়স্ত্রন করা। এ বিষয়গুলে যাচাই বাছাই করার প্রকৌশলী ও চিকিৎসকের সমন্বয় প্রয়োজন।তিনি উল্লেখ করেন, এ প্রজেক্টে মেডিকেল এক্সপাট হিসেবে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা: মোহাম্মদ চৌধুরী। এ সময় উপস্হিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটির ট্টেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক,রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, ইলেকট্টিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্টনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মুন্না, কমমূল্যের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাটি উদ্ভাবক বিভাগের শেষ বর্ষের ৩ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, জিতু দাশ ও নুরুল আজিজ।

কোভিড-১৯ এর সূচনা থেকে করোনা রোগীদের প্রধান চাহিদা হলো উচ্চমাত্রা অক্সিজেন প্রবাহ।একজন করোনা রোগীর মিনিটে ৫০-১০০ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। যা হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমেই দেওয়া সম্ভব। এ ক্যানোলার বাজারমূল্য ২-১০ লাখ টাকা। এ কারনে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ও বিভিন্ন গবেষণা সংস্হা ও প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কম মূল্যের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা তৈরি করার চেষ্টা করেছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও