বরিশালের উজিরপুরে খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে লাঞ্ছিত করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অসীম কুমার ঘরামী

অক্টোবর ০৩ ২০১৯, ২৩:১৭

Spread the love
অপরদিকে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আ. সালামের মুঠোফোনে একাধিকবার রিং দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। এ কারণে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের নীতিমালা থাকলেও উজিরপুরে উপজেলায় ধান সরবরাহ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বুধবার দুপুরে অনুদানের অর্থবিতরণ অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহেআলম গুদাম কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে দেখে ধান ক্রয়ের খবর জানতে চান। গুদাম কর্মকর্তা সাংসদকে জানান, এবার নেতারাই ধান সরবরাহ করেছে।

উপস্থিত ছাত্রলীগ সভাপতি অসীম ঘরামীকে সাংসদ বলেন- ‘তুমি কতটুকু ধান দিয়েছে’। অসীম ঘরামি ধান সরবরাহের কথা অস্বীকার করেন। প্রতিউত্তরে গুদাম কর্মকর্তা সালাম বলেন, তিনি (অসীম) ৪৬ টন ধান দিয়েছেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হন অসীম ঘরামি। সাংসদ গাড়িতে ওঠার পর অসীম অদূরে গুদাম কর্মকর্তা সালামকে কিলঘুষি মারা শুরু করে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। হামলার পর ওই কর্মকর্তা বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন। এজন্য তিনিই তাকে ফোন বন্ধ রাখতে বলেছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অসীম কুমার ঘরামী খাদ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ধান সংগ্রহ অভিযানের সময় তার নাম করে খাদ্য কর্মকর্তা নিজেই ধান সরবরাহ করে। প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান না কিনে প্রতি টনে আড়াই হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করে সে।

উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এমপি তাকে ১শ’ টন ধান সরবরাহের কথা জিজ্ঞাস করায় তিনি বিস্মিত হন এবং ধান সরবরাহ করেননি বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এর মধ্যে খাদ্য কর্মকর্তা এসে পড়লে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার জন্য এমপি তাকে ভৎর্সনা করেন। এ নিয়ে একটু উচ্চবাচ্য হয়েছে মাত্র।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও