নৃশংসভাবে হত্যার পর গাছে ঝোলানো শিশুর ক্ষতবিক্ষত লাশ-শিশুটির মা ১০ জনের নামে মামলা করেছে

অক্টোবর ১৫ ২০১৯, ১০:২১

Spread the love
দৈনিক আগমনী ডেস্কঃগতকাল সোমবার সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাজাউড়া গ্রামে কদম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় স্বজনদের কেউ জড়িত বলে পুলিশ মনে করছে। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পরিবারের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ধরনের আলামত পাওয়া গেছে। শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ সুপার জানান, ‘তুহিন হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা আবদুল বাছির, চাচা আবদুল মচ্ছব্বির, নাছির উদ্দিন, আজিবুল ইসলাম, চাচি খায়রুন্নেসা ও চাচাতো বোন তানিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, শত্রুতার জের ধরে পরিবারের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আজ (সোমবার) রাতের মধ্যেই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’.

উল্লেখ্য, সে কাজাউড়া গ্রামের আবদুল বাছিরের ছেলে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রবিবার রাতে তুহিন বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। সকালে বাছির বের হতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের সামনের দরজা খোলা। তুহিন বিছানায় নেই। পরে তিনি বিষয়টি স্বজন ও প্রতিবেশীকে জানান।

ঘরে তুহিনকে না পেয়ে বাইরে খোঁজাখুঁজি করা হয়। একপর্যায়ে বাড়ির সামনের সড়কে রক্ত দেখে এগিয়ে গিয়ে বাছির দেখেন মসজিদের পাশে কদম গাছে ঝুলে আছে তার সন্তানের লাশ। তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি পুরুষাঙ্গও কেটে ফেলা হয়েছে। সকালে দিরাই থানায় খবর দিলে তারা তুহিনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাতের আধারে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের কদম গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়। সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও