নৃশংসভাবে হত্যার পর গাছে ঝোলানো শিশুর ক্ষতবিক্ষত লাশ-শিশুটির মা ১০ জনের নামে মামলা করেছে
উল্লেখ্য, সে কাজাউড়া গ্রামের আবদুল বাছিরের ছেলে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রবিবার রাতে তুহিন বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। সকালে বাছির বের হতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের সামনের দরজা খোলা। তুহিন বিছানায় নেই। পরে তিনি বিষয়টি স্বজন ও প্রতিবেশীকে জানান।
ঘরে তুহিনকে না পেয়ে বাইরে খোঁজাখুঁজি করা হয়। একপর্যায়ে বাড়ির সামনের সড়কে রক্ত দেখে এগিয়ে গিয়ে বাছির দেখেন মসজিদের পাশে কদম গাছে ঝুলে আছে তার সন্তানের লাশ। তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি পুরুষাঙ্গও কেটে ফেলা হয়েছে। সকালে দিরাই থানায় খবর দিলে তারা তুহিনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাতের আধারে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের কদম গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়। সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।