‘যদি হঠাৎ আমার মৃত্যু হয়, আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করা হয়’-এমন চিঠি লেখার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন
চিঠিতে লিখে যাওয়া ওছিয়দ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করা হয় ইসমাইল হোসেনের।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের শেষ বিদায়ের সময় সেখানে বিগউলে বাজেনি বিদায়ের সুর। জানাজার পূর্ব মুহূর্তে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মহসীন উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের একটি চৌকশ দল গার্ড অব অনার জানাতে গিয়েও ফিরে আসেন ব্যর্থ হয়ে।
মৃত্যুর পূর্বে লেখে যাওয়া চিঠিতে তিনি আরো লিখেগেছেন, জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে নিয়ে করা স্বাধীন দেশে আমার ছেলের রুজি রোজগার অন্যায়ভাবে কেড়ে নিয়েছে। ঠুনকো অজুহাতে আমার ছেলেকে চাকরিচ্যুত করায় তার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২২ অক্টোবর চিঠিটিতে তিনি স্বাক্ষর করে ডাক যোগে ঢাকায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির বরাবরে প্রেরণ করেন। পরের দিন ২৩ অক্টোবর সকাল ১১ টার সময় হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে তারা মোটেও অবগত নন। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রশাসন থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করতে যাওয়ার পর বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন।