ছাত্রদলের দুই নেতা কারাগারে থেকে কীভাবে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন?-রুহুল কবির রিজভী

ডিসেম্বর ১৩ ২০১৯, ২১:২৮

Spread the love
আগমনী ডেস্ক: হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে  দুটি মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রশ্ন, ছাত্রদলের দুই নেতা কারাগারে থেকে কীভাবে মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন? আর তিনটি মোটরসাইকেল পোড়াতে ১৩৫ নেতার প্রয়োজন পড়ল?শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্টের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় আসামি করা হয়েছে ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার ও ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে।আর এই দুজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তবে কি তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে গাড়ি পুড়িয়েছেন?

রিজভী বলেন, সরকার তাদের খয়ের খাঁ পুলিশকে দিয়ে আমাদের ১৩৫ জন নেতাকে আসামি করে মোটরসাইকেল পোড়ানোর উদ্ভট দুটি মামলা করেছে।

সরকার বর্তমানে নতুন কোনো ইস্যু না পেয়ে আগেরমতো আবারও আগুনের খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।রিজভীর অভিযোগ, গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের দিয়ে আওয়ামী লীগ হাইকোর্ট এলাকায় বেওয়ারিশ দুই মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে সরকারের বিশেষ বাহিনীর পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

সরকারের মতো পুলিশেরাও এখন গায়েবি তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। গত এক সপ্তাহে সিনিয়র নেতাদের নামে একের পর এক মামলা দিয়েই যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তি, কারাবন্দি নেতাদেরও গায়েবি মামলার পাইকারি আসামি করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির আগের দিন সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই মঙ্গলবার পৌনে ৫টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার বাইরে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।জাতীয় ঈদগাহ, হাইকোর্ট মাজার গেট ও বার কাউন্সিল ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও